Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

ছিঃ, চরম লজ্জা! আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণ! মুখ বাঁচাতে এত মিথ্যা ববি হাকিমের?

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আরজিকরের ঘটনার পুনরাবৃত্তির ঘটে গেল রাজ্যের মাটিতে। আরজিকরে যেটা সরকারি মেডিকেল কলেজে হয়েছিল, এবার সেই একই ঘটনা ঘটলো শিক্ষাঙ্গনে। যেখানে দক্ষিণ কলকাতার আইন কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা মনোজিৎ মিশ্রের বিরুদ্ধে উঠলো এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে যার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, সেই মনোজিৎ মিশ্র শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের ইউনিটের প্রাক্তন সভাপতি বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, তার ফেসবুক প্রোফাইল ঘাটলেও দেখতে পাওয়া যাবে, তার সঙ্গে তৃণমূলের অনেক দাপুটে নেতা-মন্ত্রীদের ছবি রয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও কি করে এত বড় মিথ্যা কথা বলে ফেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী ববি হাকিম?

ইতিমধ্যেই সকলেই দেখতে পাচ্ছে যে, মনোজিৎ মিশ্রের সঙ্গে শাসকদলের কতটা ঘনিষ্ঠতা রয়েছে! কিন্তু এই সমস্ত কিছু কি দেখতে পাচ্ছেন না রাজ্যের মন্ত্রী ববি হাকিম? এদিন তিনি বলেন, “যাদের নামে অভিযোগ আছে, তারা তৃণমূলের সঙ্গে কোনোদিন যুক্ত ছিলেন না। কোনোভাবেই যোগ নেই। সমর্থক কিনা আমি বলতে পারব না। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। আদর্শে যারা তৃণমূল করে, তারা কখনও কোনো অন্যায় করতে পারে না।”

আর রাজ্যের একজন মন্ত্রী, যিনি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন নেতা, তিনি কি করে এত দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করতে পারেন! তা নিয়েই বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। অনেকেই বলছেন যে, চোখের সামনে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, তৃণমূলের একের পর এক নেতা, মন্ত্রী, দাপুটে ব্যক্তিদের সঙ্গে এই মনোজিৎ মিশ্রের ছবি। সকলেই সেটা দেখতে পাচ্ছেন, কিন্তু ববি হাকিম কেন তা দেখতে পাচ্ছেন না? নাকি দেখেও না দেখার ভান করছেন! কারণ আরজিকরের পর আবার যে ঘটনা ঘটে গেল, তারপর রাজ্যের নারী নিরাপত্তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে, ঠিক তেমনই শিক্ষাঙ্গনে মহিলাদের বিন্দুমাত্র নিরাপত্তা নেই, আর রক্ষক যে ভক্ষক হয়ে গিয়েছে, তা দিনের আলোর মত পরিষ্কার। তাই ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই নিজের দলের থেকে সমস্ত কিছু ঝেড়ে ফেলার জন্যই কি এখন মরিয়া চেষ্টা শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্ত্রী?

বিরোধীদের দাবি, এই রাজ্যের সরকার এবং তৃণমূল দলের বিন্দুমাত্র লজ্জা নেই। এত কিছুর পরেও তারা কি করে বলেন যে, এই মনোজিৎ মিত্রের সঙ্গে তাদের দলের কোনো যোগ নেই! সবাই পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে যে, রাজ্যে কি ঘটনা ঘটেছে এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত! কিন্তু তৃণমূল এখন স্বচ্ছতা বজায় রাখতে মরিয়া হয়ে গিয়েছে। আর সেই কারণে রাজ্যের একজন মন্ত্রী, তিনি সবকিছু দেখেও দায়িত্বজ্ঞানের মত আচরণ করে সকলের কাছে হাসির কারণ হয়ে উঠলেন বলেই খোঁচা দিচ্ছে বিরোধীরা।

Exit mobile version