Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

Big breaking কোচবিহারের শুভেন্দুকে পদে পদে বাঁধা! তৃণমূলের ছ্যাঁচড়ামি দেখে তাজ্জব জনতাও?

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আদালতের অনুমতি নিয়ে কোচবিহারে গিয়েছেন। যেখানে বিজেপি বিধায়কদের আক্রান্তের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তার। কিন্তু তিনি কোচবিহারের মাটিতে পা রাখার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস তার ছাত্র সংগঠনের চুনোপুঁটি নেতাদের দিয়ে যে অসভ্যতা শুরু করেছে, তার ফলে প্রশ্ন উঠছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিরোধী নেত্রী ছিলেন, তখন তো তাকে কোথাও এই ভাবে বামেরা অসভ্যতা করেনি। কিন্তু যে বিজেপির এত সমর্থন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকে এই জায়গায় এসেছেন, সেই বিজেপির বিরোধী দলনেতাকে তিনি তার দলকে দিয়ে অসভ্যতা করাতে শুরু করেছেন, তা গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত বিপদজনক বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

বস্তুত, এদিন কোচবিহারে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তিনি যে রাস্তা দিয়ে যাবেন, সেখানেই ১৯ টি জায়গায় এনআরসির বিরোধিতা করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুরু হয় প্রতিবাদ। শুধু তাই নয়, কোচবিহারে শুভেন্দু অধিকারীর যাওয়ার পথে তিনি যখন জলপাইগুড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন, তখন যে রাস্তা দিয়ে তার কনভয় যায়, সেই রাস্তা গোবর জল দিয়ে ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ করতে শুরু করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্লোগান তোলার পাশাপাশি কালো পতাকাও দেখানো হয় বলে অভিযোগ।

আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠছে যে, এটা কি ধরনের শিষ্টাচারের রাজনীতি তৃণমূল কংগ্রেসের? তারা তো নাকি বিরোধী দল বলে কিছু নেই, এমনটাই দাবি করে। তাহলে কোচবিহারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এসেছেন, সেখানে তার প্রতি রাজনৈতিক আক্রমণ না করে যেভাবে তৃণমূল অসভ্যতা শুরু করলো, তাতে শাসকের এই ধরনের ঘটনা পরম্পরাকে ছ্যাঁচড়ামি ছাড়া আর কিছু হিসেবেই মানতে নারাজ সাধারণ জনতা।

Exit mobile version