প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে বিহারের মত বাংলাতেও এসআইআর অথবা ভোটার তালিকায় সংশোধনী প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। আর এই খবর পাওয়ার সাথে সাথেই রীতিমত রাস্তায় নেমে কমিশনের বিরুদ্ধে অলআউট আক্রমণে নেমে পড়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকালই ঝাড়গ্রামের একটি সভা থেকে নির্বাচন কমিশনকে বিজেপির ক্রীতদাস বলে আক্রমণ করেছেন তিনি। যা সরাসরি সাংবিধানকে চ্যালেঞ্জ জানানো বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এতে অসুবিধাটা কোথায়? কেন তিনি ভোটার তালিকায় সংশোধনী প্রক্রিয়ায় এত আপত্তি প্রকাশ করছেন? এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বিগত বাম সরকারের আমলে বারবার করে নির্বাচনে স্বচ্ছতার দাবি জানিয়েছেন। ফলে তারা যদি কোনো অস্বচ্ছতার পথ অবলম্বন নাই করে থাকবেন, তাহলে ভোটার তালিকায় সংশোধনী হলে তাতে বাধা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে কেন এত আক্রমণ করতে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে? তবে এর পেছনে যে একটা বড় কারণ রয়েছে, এবার সেই তথ্য ফাঁস করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।
বলা বাহুল্য, ভোটার তালিকায় সংশোধনী প্রক্রিয়ার খবর সামনে আসতেই তৃণমূল বিরোধীতা করতে শুরু করেছে। সমস্ত লিমিট ক্রস করে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য সভা থেকে নির্বাচন কমিশনকে বেলাগাম আক্রমণ করেছেন। তবে বিজেপি দাবি করছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভয় পাওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ এতদিন ধরে বাংলায় রোহিঙ্গা, অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার তালিকায় ছিল। আর এদের ভোট নিয়েই তৃণমূল বারবার করে ক্ষমতায় এসেছে। তাই ভোটার তালিকায় সঠিক সংশোধনী প্রক্রিয়া শুরু হলে এদের নাম বাদ যাবে। আর তৃণমূলের ক্ষমতায় থাকা হবে না। আর সেই বিষয়কে হাতিয়ার করেই তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘন্টা শুনতে পাচ্ছেন। আর সেই কারণেই তিনি মেজাজ হারাচ্ছেন বলে দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা শমীকবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “তিনি যেভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পরিচালনা করেন, তিনি ভাবছেন, দেশের নির্বাচন কমিশনও সেভাবে পরিচালিত হচ্ছে। বিহারে এসআইআর হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের শুরু হওয়ার আগে থেকেই আতঙ্ক। কারণ পুরোটাই ভেজাল। বাংলাদেশী, রোহিঙ্গা, মৃত ভোটার, ভুয়া ভোটার দিয়ে ভরিয়ে রেখেছে ভোটার লিস্ট। ২০০২ সালে শেষবার সংশোধনী হয়েছিল। আবার হচ্ছে। আতঙ্কিত তৃণমূল কংগ্রেস। ওর মধ্যেই মৃত্যু ঘন্টা খুঁজে পাচ্ছে। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী মেজাজ হারাচ্ছেন।”