Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

Big breaking দ্যাখ কেমন লাগে, এসএসসি ভবন অভিযানে সুমন বিশ্বাসদের অনুমতি! বিরাট ধাক্কা খেলো মমতা পুলিশ!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
গতবার এসএসসি ভবন অভিযানের আগে যেভাবে প্রতিবাদী যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাসকে আটক করা হয়েছিল। আজকেও সেরকম একটা আশঙ্কা করা হয়। এমনকি ফেসবুক লাইভের মধ্যে দিয়ে উঠে আসে যে, করুণাময়ী মেট্রো স্টেশনে সেই সুমন বিশ্বাসকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। যদি ও বার শেষ পর্যন্ত পুলিশ আটক করতে পারেনি এই প্রতিবাদী যোগ্য শিক্ষককে। অন্যদিকে এসএসসি ভবন অভিযানে পুলিশের পক্ষ থেকে যে অনুমতি দেওয়া হয়নি, সেই বিষয়টিও সামনে এসেছিল। অর্থাৎ পুলিশ যেভাবেই হোক, এই আন্দোলনকে আটকানোর জন্য যে সব রকম পরিকল্পনা করে রেখেছে, তা যত সময় যাচ্ছিল, ততই স্পষ্ট হতে শুরু করেছিল। তবে এবার এই রাজ্যের দলদাস পুলিশ হাইকোর্টের একটি নির্দেশের ফলেই বড়সড় ধাক্কা খেলো বলেই মনে করছে বিরোধীরা।

কি ঘটনা ঘটেছে? বলা বাহুল্য, আজ চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের একটি মঞ্চের পক্ষ থেকে এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই পুলিশের তৎপরতা এবং অতি সক্রিয়তা সামনে আসে। যেখানে সুমন বিশ্বাসকে মেট্রো স্টেশনের মধ্যেই আটক করার চেষ্টা করা হয় বলেই অভিযোগ। আর এই পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে এসএসসি ভবন অভিযানের অনুমতি না দেওয়া হলেও, আদালতের পক্ষ থেকে এসএসসি ভবন অভিযান করতে পারবেন এই যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকরা বলেই জানিয়ে দিলো কলকাতা হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে আদালত।

জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশ সামনে এসেছে। যেখানে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়ে দিয়েছেন যে, বিকেল ৪ টার সময় সুমন বিশ্বাস সহ মোট ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এসএসসি ভবনে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাদের যা দাবিদাওয়া রয়েছে, তা তারা এসএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে জানাতে পারেন। তবে যদি চেয়ারম্যান না থাকেন, তাহলে কোনো প্রতিনিধির কাছে তারা নিজেদের সেই বিষয়গুলো তুলে ধরতে পারেন। আর পুলিশ যেভাবে এই এসএসসি ভবন অভিযানে অনুমতি দেয়নি, তাতে আদালত এই নির্দেশ দেওয়ার পর সুমন বিশ্বাস সহ যে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল এসএসসি ভবনে যাবে, তাদের পুলিশ কোনোমতেই বাধা দিতে পারবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। স্বাভাবিকভাবেই আদালতের এই নির্দেশের ফলে এই রাজ্যের দলদাস পুলিশ আরও একবার বড়সড় ধাক্কা খেলো এবং তাদের মুখে ঝামা ঘষা পড়লো বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

Exit mobile version