Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

“দিল্লিতে গিয়ে কান ধরে ওঠবস করাব” রাজ্যের কোন অফিসারের ওপর এত ক্ষেপে গেলেন সুকান্ত?

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য থেকে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তাই তিনি যখন যাবেন, তার আগে বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে ভিভিআইপি জোনের আগেই তার গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। তিনি হেঁটেই ভেতরে যান। এত পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও সুকান্তবাবু দেখেন যে, তাকে আটকে দেওয়া হলেও রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর গাড়ি যেতে দেওয়া হলো। স্বাভাবিকভাবেই এরপরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। আর শুধু সুকান্তবাবু কেন, এটা যদি যে কারও সাথে ঘটত, তাহলে তারাই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতেন। পক্ষপাতিত্বের ঘটনা ঘটবে কেন? কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, আর রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। আইন যদি হয়, তাহলে তো আইন সকলের জন্যই সমান হবে। এক্ষেত্রে রাজ্যের মন্ত্রীকে গাড়ি নিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হবে, কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কেন দেওয়া হবে না? তাই এবার যে অফিসার সেই কান্ড ঘটিয়েছেন, তাকে যে চরম খেসারত দিতে হবে, তার ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন সুকান্ত মজুমদার।

এদিন প্রধানমন্ত্রী বাংলা ছেড়ে যাওয়ার পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই যে পুলিশ অফিসার এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাকে প্রিভিলেজ নোটিশ দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন তিনি। সুকান্তবাবু বলেন, “কোন এক্তিয়ারে উনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়ি এখানে ঢুকতে দেবেন না, কিন্তু এখানে রাজ্যের মন্ত্রীর গাড়ি ঢুকবে? রাজ্যের মন্ত্রীর মাথায় কি দুটো সিং গজিয়েছে? এই ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ আমরা সহ্য করব না। নিয়ম সবার জন্য একই থাকবে। আমার জন্যও যদি গাড়ি বাইরে রাখার হয়, তাহলে রাজ্যের মন্ত্রীর জন্যেও গাড়ি বাইরে রাখতে হবে। আপনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ঢুকতে দেননি তাই আপনি প্রিভিলেজকে অমান্য করেছেন। তাই যে অফিসার এটা করেছেন, আপনাদের মাধ্যমে তাকে বলে যাচ্ছি, আপনি কোর্টে যান, যেখানে খুশি সেখানে যান। আমি দিল্লিতে গিয়ে আপনাকে ডাক করাবো। দিল্লিতে গিয়ে কান ধরে ওঠবস করাবো।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রাজ্যের প্রশাসন যে কতটা দলদাসের মত আচরণ করে, তার তো আরও একটা নজির আজকে এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গেল। এরপরে তো চুপ করে বসে থাকা যায় না। সেক্ষেত্রে সুকান্ত মজুমদার একদম সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি মুখে যা বলছেন, সেটা যদি করে দেখাতে পারেন, তাহলে এই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন যেভাবে দলদাসের মত আচরণ করছে, তারা কিছুটা হলেও সমঝে চলতে শুরু করবে।‌ এই রাজ্যের পুলিশ ধরাকে যদি সরা জ্ঞান নাই করে, তাহলে রাজ্যের মন্ত্রীকে যেতে দেওয়ার পরেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তারা যেতে দিলো না। অর্থাৎ তাদের এত বড় সাহস এবং এতটাই ঔদ্ধত্য দেখা যাচ্ছে যে, তারা আইনের বিন্দু বিসর্গ মানতে নারাজ। তাই তাদেরকে আইনের মাধ্যমে কোন পথে কাবু করতে হয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রতি এই ধরনের অসম্মানজনক আচরনের বিরুদ্ধে কি করে তাদের টাইট দিতে হয়, এবার কলকাতার মাটি থেকে সেই পুলিশ অফিসারকে বার্তা দিয়ে গেলেন সুকান্ত মজুমদার।

Exit mobile version