প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গ বর্তমানে অন্ধকার রাজ্যে পরিণত হয়েছে। এখানে আইনশৃঙ্খলা যেমন নেই, ঠিক তেমনই নারী নিরাপত্তা কার্যত তলানিতে বলে প্রতি মুহূর্তে অভিযোগ করছে বিরোধীরা। আরজিকর থেকে শুরু করে সম্প্রতি পাঁশকুড়ায় সরকারি হাসপাতালে ঘটে যাওয়া আরও এক ভয়ঙ্কর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীদের একটাই দাবি যে, এই রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। তাই তাকে না সরালে পশ্চিমবঙ্গে নারী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে না। তবে পশ্চিমবঙ্গের নারী নিরাপত্তা নিয়ে যখন ক্রমাগত প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা, তখন দেশের মহিলাদের সুরক্ষা এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা কিন্তু একেবারেই প্রশ্নের মধ্যে নেই। বরঞ্চ সেই সমস্ত রাজ্যে যেভাবে নারীদের স্বশক্তিকরণের ঘটনা ঘটেছে, যেভাবে মহিলারা এগিয়ে যাচ্ছেন, যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের একের পর এক প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে নারী শক্তির বৃদ্ধি হচ্ছে, তাতে একমাত্র ব্যতিক্রম রাজ্য হয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ। অন্তত বিরোধীদের তেমনটাই দাবি। আর আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে গ্রামীণ সেবিকাদের সেবাদান কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে সেই নারী সুরক্ষা নিয়েই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চাঁচাছোলা আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিজেপি। আর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সেবাদান কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন বিজেপি নেতারা। যেখানে নন্দীগ্রামে কিছুক্ষণ আগেই গ্রামীণ সেবিকাদের সেবাদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই কর্মসূচি থেকেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নারী সুরক্ষা নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন যোগ্যকে সাধুবাদ জানালেও, রাজ্যে যেভাবে নারীদের নিরাপত্তা ভুলুন্ঠিত হচ্ছে, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন তিনি। বিরোধী দলনেতা বলেন, “ধর্ষকদের নেত্রী কে, মমতা ব্যানার্জি আবার কে!”
এদিন রেয়াপাড়ায় গ্রামীণ সেবিকাদের সেবাদান কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকরা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করেন। আর সেখানেই তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মহিলাদের জন্য যা করেছেন, আজকের দিনে এই অনুষ্ঠান থেকে তাকে ধন্যবাদ দিলাম। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে নারী সুরক্ষা নেই, নারী সুরক্ষা তলানিতে। নারী সুরক্ষার প্রয়োজন, তার প্রার্থনা করলাম। সাথে সাথে উনি যে লোকসভায় সংরক্ষণ বিল এনেছেন, তার জন্যেও ওনাকে কৃতজ্ঞতা জানালাম।” আর এরপরেই সাংবাদিকরা পশ্চিমবঙ্গের নারী সুরক্ষা দিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করেন। যার উত্তরে বিরোধী দলনেতা বলেন, “নারী সুরক্ষা পশ্চিমবঙ্গে নেই। যে কাজ যোগীজি, হিমন্ত বিশ্বশর্মা, চন্দ্রবাবু নাইডুরা করছে, দিল্লী পুলিশ করছে, সেই কাজ এখানকার পুলিশ করে না। আপনি নিজে দেখলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি পোড়ানো মালদার চাচোলে তাকে ততক্ষণ ধরা গেল না, যতক্ষণ না তৃণমূল তাকে সাসপেন্ড করছে। ধর্ষকদের নেত্রী কে, মমতা ব্যানার্জি আবার কে! যে সোমনাথ, অভয়ার দেহ তাড়াতাড়ি করে পুড়িয়ে দিলো, তাকে পানিহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান করে পুরস্কার দিলো। যে অনুব্রত মণ্ডল আইসি বোলপুরের মাকে, স্ত্রীকে ধর্ষণ করবে বলে পাঁচ বার বলেছে, মমতা ব্যানার্জি তার সিকিউরিটি বাড়িয়ে তাকে পদ দিয়ে তাকে রাজা বানিয়ে দিলেন। এসব থেকেই তো প্রমাণিত হয়।”