প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে ঘটেই চলেছে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা। আরজিকর কাণ্ডের পর আবার দুর্গাপুরে এক বেসরকারি মেডিকেল কলেজের তরুণীর সঙ্গে ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক ঘটনা। তবে সত্যিই কি এই রাজ্যে শাসক দল এই নারী নির্যাতন নিয়ে চিন্তিত? তারা কি আদৌ চায় যে, বাংলায় নারী নির্যাতনের মত এত জঘন্য ঘটনা বন্ধ হোক? এই প্রশ্নটা উঠছে, তার কারণ, একদিকে তো রাজ্যে লাগাতার এইরকম নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। তার মধ্যেই সেই ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের বিধায়ক তথা বিশিষ্ট অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী দিলেন আজব যুক্তি। তার বক্তব্য, ধর্ষণের নাকি কোনো সলিউশন নেই! আগেও হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। আর শাসক দলের একজন দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধির এই বক্তব্য ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রীতিমত প্রতিবাদের আওয়াজ উঠেছে সমাজের সর্বত্র। কেন বারবার এই রাজ্যের বুকে মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না, তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে। শুধু তাই নয়, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর একটি মন্তব্য ঘিরেও বিতর্ক দানা বেঁধেছে। আর তার মাঝেই তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী সেই ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে এক অদ্ভুত যুক্তি সামনে আনলেন। যার ফলে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন যে, কোনো মানবতা যুক্ত মানুষ কি আদৌ এই ধরনের কথা বলতে পারেন?
এদিন দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এটার সলিউশন হয় নাকি? যুগ যুগ ধরে একই চলে যায়। সবাই চেষ্টা করে। কেউই চায় না। জানি না, রাম রাজ্য বলে কিছু ছিল কিনা! তখন হতো কিনা, বলতে পারব না। আমরা যতদিন জন্মেছি, আমরা শুনেছি, এরকমই চলে। আগের সময়ও চলেছে, এখনও চলছে, পরেও চলবে।” আর তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যের পরেই বিরোধীদের প্রশ্ন যে, ঘুরিয়ে কি ধর্ষকদেরই উৎসাহ দিলেন না চিরঞ্জিতবাবু? একজন জনপ্রতিনিধি কি করে এই ধরনের বেসামাল বক্তব্য রাখতে পারেন? এরা কি আদৌ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য জনপ্রতিনিধি হয়েছে, নাকি জনতাকে বিপদে ফেলাই এদের কাজ? তৃণমূল বিধায়কের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।