Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

ধুর্! SIR নিয়ে শুধুই বৈঠকের পর বৈঠক, আসল কাজটা শুরু হবে কবে? প্রশ্ন তুলছে বাংলা!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের সাধারণ মানুষ, যারা চান, তৃণমূল সরকারকে বিদায় দিতে, যারা চান, এই রাজ্যকে রোহিঙ্গামুক্ত, অবৈধ বাংলাদেশি মুক্ত করতে, তারা এখন ভরসা রাখছে নির্বাচন কমিশনের ওপর। কারণ ২০২৬ এর নির্বাচন যদি স্বচ্ছভাবে পরিচালিত করতে হয়, তাহলে বাংলায় দরকার এসআইআর। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যতক্ষণ না এই এসআইআর হচ্ছে, ততক্ষণ তো এর কোনো কিছুই হবে না। না হবে রোহিঙ্গাদের খেদানো, না হবে অবৈধ বাংলাদেশিদের বিতাড়িত করা। তাদের যেভাবে ভোটার তালিকায় লুকিয়ে রেখে অবৈধ ভোট নিয়ে এতদিন ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল বলে অভিযোগ করছে বিরোধীরা, সেই ট্রেন্ড ভাঙতে পারে একমাত্র এই এসআইআর। অন্তত তেমনটাই মত পোষণ করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এসআইআর নিয়ে প্রস্তুতি, এসআইআর নিয়ে একের পর এক বৈঠক, এই সমস্ত কিছুই দেখতে পাচ্ছে বাংলা। প্রতিনিয়ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে বৈঠক হচ্ছে। তবে এই বৈঠক দেখতে দেখতে এখন রীতিমতো হতাশ বাঙালি। তারা বলছে, মিটিং শেষ করে এবার আসল কাজে হাত দিক নির্বাচন কমিশন।

ইতিমধ্যেই এসআইআরের প্রস্তুতি নিয়ে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। আর আজকেও আবার সেই বৈঠক হতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে। যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, ভোটার তালিকা ম্যাপিং নিয়ে যে প্রস্তুতি হবে, সেই প্রস্তুতির প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বৈঠক আজ অনুষ্ঠিত হবে। মূলত, কিভাবে এই ভোটার তালিকা ম্যাপিংয়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে, তা নিয়েই আলোচনা হবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে। তবে যারা সাধারন মানুষ, যারা খেটে খাওয়া মানুষ, তারা চান, পশ্চিমবঙ্গ রোহিঙ্গা মুক্ত হোক। তাই তারা এই বড় বিষয়টা সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে যে বিভিন্ন আলাপ আলোচনা দরকার, বিভিন্ন প্রস্তুতি দরকার, সেই সম্পর্কে মাথা ঘামাতে রাজি নয়। তারা একটাই বিষয়ে দেখতে চাইছেন যে, দ্রুত এসআইআর লাগু করা হোক। আর তাদের এই প্রত্যাশা যে পুজোর পরেই পূরন হতে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। তারা শুধু বলছেন যে, একটু সময় দেওয়া উচিত কমিশনকে। কারণ এসআইআর করার আগে সকল স্তরের আধিকারিকদের প্রশিক্ষিত করে নেওয়া প্রয়োজন। তাই এখন নির্বাচন কমিশন সেই কাজ করতেই সবথেকে বেশি তৎপর। যা এসআইআর লাগু হওয়ার আগের ধাপ বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, বাংলায় এসআইআর হবেই। কেউ আটকাতে পারবে না। তৃণমূল সরকার এই এসআইআরে আতঙ্কে রীতিমত জর্জরিত হয়ে পড়েছে। কারণ এই এসআইআর হলে রোহিঙ্গা, অনুপ্রবেশকারী এবং অবৈধ বাংলাদেশিদের নাম বাদ যাবে। আর তাদের নাম বাদ গেলে তৃণমূল ক্ষমতায় আসবে না, এটা তারা খুব ভালো মত জানে। যার জন্য প্রকাশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরোধিতা করছেন। আবার তলায় তলায় নির্বাচন কমিশনের কাছে এজেন্ট পর্যন্ত দিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা তৃণমূল সরকারের ওপর বিরক্ত, তারা চাইছে, এবার পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ভোটটা ঠিকঠাক হোক। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের সময় যেন সন্ত্রাস না হয় এবং মৃত ভোটার, ভুয়ো ভোটারদের ভোট যেন কেউ না দিতে পারে। সেদিক থেকে তা আটকাতে গেলে যে এসআইআর অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, এটা দিন আনা দিন খাওয়া সাধারণ মানুষদের কাছেও পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তাই তারা কমিশনে বৈঠকের পর বৈঠক দেখতে দেখতে কিছুটা হতাশ ঠিকই। তবে যারা এই এসআইআর নিয়ে হতাশ হচ্ছেন, কবে এসআইআর হবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন, তাদের আশঙ্কার কোনো প্রয়োজন নেই। বাংলায় ২৬ এর নির্বাচনের আগেই এসআইআর লাগু হবে। আর তার আগে নির্বাচন কমিশন তাদের প্রয়োজন মত সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলেই বার্তা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version