প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এতদিন সকলেই মনে করতেন যে, হিন্দু ভোট তৃণমূল হয়ত বেশি পাবে না, কিন্তু সংখ্যালঘু ভোটের সবটাই তারা পাবে। আর তাই নিয়েই তারা অনায়াসে ক্ষমতায় চলে আসবে। কিন্তু আজ থেকেই যে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক চিত্রের যে আমূল পরিবর্তন হয়ে গেল, তা বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের মুহূর্তে হুমায়ুন কবীরের যে বক্তব্য, তার মধ্যে দিয়ে আরও বেশি করে স্পষ্ট হয়ে গেল সকলের কাছে। যদি নিজের কথামত এই কাজ হুমায়ুন কবীর করেন এবং সেই মতো সংখ্যালঘুদের একত্রিত করতে পারেন, তাহলে আগামী দিনে তা পশ্চিমবঙ্গের জন্য যেমন চিন্তাজনক, ঠিক তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতায় আসা এবং যে সংখ্যালঘু ভোট তিনি সবটা পাবেন বলে মনে করেছিলেন, তাও ভোগে যাবে বলেই মনে করছেন একাংশ।
ইতিমধ্যেই তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন হুমায়ুন কবীর। তবে সকলের মধ্যে একটাই প্রশ্ন যে, সত্যিই কি তৃণমূলের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই? সত্যিই কি তিনি এবার সংখ্যালঘু ভোটে ভাঙ্গন ধরিয়ে তৃণমূলকে বিপদে ফেলবেন, নাকি সবটাই লোক দেখানো? তবে তলায় তলায় কি সমঝোতা আছে, সেটা তো সময় বলবে। কিন্তু আজ বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের মুহূর্তে যে হুংকার হুমায়ুন কবীর দিলেন, তাতে চরম বিপদ বাড়বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবেধর নীলমণি সংখ্যালঘু ভোটে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ঠিক কি বলেছেন হুমায়ুনবাবু?
এদিন বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের মঞ্চ থেকেই বড় মন্তব্য করেন হুমায়ুন কবীর তিনি বলেন, “২০১১ সালে ৬৭ জন সংখ্যালঘু বিধায়ক ছিলেন। ২০১৬ সালে মমতা ব্যানার্জি তা কমিয়ে ৫৭ জন করলেন, আর ২০২১ সেটা নামিয়ে ৪৪ জনে নামিয়ে আনা হলো।” এক্ষেত্রে হুমায়ুনবাবুর বার্তা, ৯০ টি আসনে সংখ্যালঘু প্রার্থীদের জেতাতে হবে। আর বাকি ২০৪ টি আসনে হিন্দুরা কাকে সমর্থন করবেন, মমতা ব্যানার্জি নাকি শুভেন্দু অধিকারীকে, সেটা তারা বুঝে নেবেন। তবে ৯০ টি আসনে সংখ্যালঘু প্রার্থীদের জিতিয়ে বিরোধী শক্তিকে নিজেদের দখলে নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক। আর এটা রাজ্যবাসীর কাছে যেমন চিন্তার বিষয়, ঠিক তেমনই তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটেও বড় মাপের ধাক্কা আসবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
