Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

দলীয় গোষ্ঠী কোন্দল চরমে? ভবানীপুর কেন্দ্র নিয়েও চিন্তায় ঘাসফুল? ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা বক্সীর!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস কি রীতিমত আতঙ্কিত? রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে, এটা সকলেই জানে। এটাও দেখা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন জায়গায় বিজয়া সম্মিলনীতে নেতা-মন্ত্রীরা গোষ্ঠী কোন্দল দূরে রেখে যাতে ২৬ এর নির্বাচনে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করা যায়, তার বার্তা দিচ্ছেন। কিন্তু যেখানে প্রার্থী স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যা,য় যেখানে ভবানীপুর তার নিজের নির্বাচন কেন্দ্র, সেখানেও কি তল কাটার আশঙ্কা করছে তৃণমূল নেতৃত্ব? সেখানেও কি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বড় কাঁটা হয়ে যেতে পারে ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে?

গতকাল ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়। যেখানে সশরীরে উপস্থিত না থাকতে পারলেও উত্তরবঙ্গ থেকে ফোন মারফত নিজের বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়‌। যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, এবারেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রেই লড়াই করতে পারেন। তবে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় কি ঘোষণা হবে, সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু সেই বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত থেকে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী স্বয়ং যে বার্তা দিলেন, তাতে অনেকেই বলছেন যে, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রতেও কি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে? যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের শেষ কথা, সেখানেও কি চিন্তার কারণ হয়ে যেতে পারে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব?

গতকাল ভবানীপুরে তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীতে বক্তব্য রাখেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। তিনি বলেন, “মার্চ এপ্রিল মাসের মধ্যেই নির্বাচন আছে। নির্বাচনের আঙ্গিনায় দাঁড়িয়ে যদি কারও সঙ্গে কারও বিরোধ থাকে, আমি সকলকে অনুরোধ করব, নিজেদের ঐক্যবদ্ধতাকে বজায় রাখব। যাতে আমরা পারস্পারিক নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করতে পারি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থীপদ ঠিক করবেন। তিনি যাকে প্রার্থী করবেন, সকলকে অনুরোধ করব, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাকেই এই নির্বাচনে আমরা জয়ী করব।” আর এখানেই বিরোধীরা বলছেন, শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল এখন সর্বজনবিদিত। তবে এই কোন্দল এতটাই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে যে, ভবানীপুরেও তার আশঙ্কা রয়েছে। আর সেই কারণেই নির্বাচনের বেশ কিছু মাস দেরি থাকলেও বিজয় সম্মেলনীর মধ্যে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের কেন্দ্রেই যাতে সকলে ঐক্যবদ্ধ হতে পারেন, তার বার্তা দিতে দেখা গেল দলের রাজ্য সভাপতিকে। অন্তত তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version