Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে মমতার সাফাই! গর্জে উঠলো কেন্দ্রীয় বিজেপি, কড়া প্রতিক্রিয়া সুষমা কন্যার!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে, তা আর মুখ বুজে কেউ সহ্য করতে পারবে না। এতদিন কেন্দ্রীয় বিজেপির পক্ষ থেকে এই রাজ্যে পরিবর্তন আদৌ তারা চায় কিনা, তা নিয়ে কর্মীদের মধ্যে একটা প্রশ্ন ছিল। তবে সাম্প্রতিককালে এই বাংলায় যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে এবং ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই যেভাবে দিল্লি থেকে কড়া ভাষায় তার প্রতিক্রিয়া দেওয়া হচ্ছে, তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, বাংলা নিয়ে অত্যন্ত সিরিয়াস বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সম্প্রতি এই রাজ্যের বুকে ঘটে গিয়েছে আরও এক মর্মান্তিক ঘটনা। যেখানে ওড়িশার এক তরুণী এই রাজ্যের দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ছিলেন। আর তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। যার ফলে এই রাজ্যের যারা বিরোধী দল বিজেপি, তারা প্রথম দিন থেকেই প্রতিবাদ শুরু করেছে। তবে গতকাল এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আবার এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে একাধিক মন্তব্য করেছেন। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। মহিলারা নিজেরাই নিজেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করবে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথা বলেছেন, তার বিরোধিতা করে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। আর সেই কথাই তুলে ধরে দিল্লি থেকে প্রয়াত বিজেপি নেত্রী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের কন্যা সাংবাদিক বৈঠকে দিলেন কড়া প্রতিক্রিয়া।

ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে রাজ্যজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কি করে মহিলাদের সুরক্ষা যখন নেই, যখন একজন তরুণী চিকিৎসক নির্যাতিতা হয়েছেন, তখন এইরকম বক্তব্য রাখতে পারেন! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। আর তার মধ্যেই আজ দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির পক্ষ থেকে দেওয়া হলো কড়া প্রতিক্রিয়া। এই রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে গণধর্ষণ কাণ্ডের পরে সাফাই দিয়েছেন, তার কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন বিজেপি সাংসদ বাঁশুরি স্বরাজ। একজন মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এই রকমের মন্তব্য আশা করা যায় না বলেই দাবি করলেন তিনি।

এদিন দিল্লিতে বিজেপির পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। আর সেখানেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ বাঁশুরি স্বরাজ বলেন, “রাজ্যের সুরক্ষার দায়িত্ব তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, যিনি খোদ নিজেই রাজ্যের হোম মিনিস্টারও বটে। প্রত্যেক মহিলাই যেন যে কোনো সময় বেরোতে পারে, সেই দায়িত্ব তার। ওনার থেকে এটাই আশা করা হয় যে, তিনি রাজ্যকে এতটাই সুরক্ষিত করে দেবেন যে, মহিলারা যে কোনো সময় বাইরে বের হতে পারবেন নির্ভয় হয়ে। সেখানে এই গণধর্ষণের ঘটনায় সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করছেন।”

Exit mobile version