প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এখনও পর্যন্ত সময় করে দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের যে তরুণী চিকিৎসকের গণধর্ষণ হয়েছে, যার চিকিৎসা চলছে, তার সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করার সময় পেলেন না। তবে এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আজ দুর্গাপুরে এসেছিলেন। সেখানে তিনি চেষ্টা করেছিলেন যে, হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করবেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে ট্রিটমেন্টের ব্যাপারে যাবতীয় খোঁজ খবর নেবেন এবং পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কিন্তু সকালেই তার কাছে চিকিৎসকদের তরফে ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, তারা কারও সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। কারণ তাদের ওপরে চাপ আছে এবং তাদের কারও সঙ্গে দেখা করে কোনো বিষয়ে যাতে কথা বলা না হয়, তার জন্য বারণ করে দেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই তথ্য তুলে ধরেই একেবারে হাটে হাড়ি ভেঙ্গে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ইতিমধ্যেই এই রাজ্যের বুকে দুর্গাপুরে যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে গোটা রাজ্যবাসী লজ্জিত। ওড়িশার একজন মেয়ে এই বাংলায় পড়তে এসে যেভাবে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে, তাতে মান সম্মান গিয়েছে গোটা রাজ্যের। কিন্তু এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আবার বড়াই করে যেখানে নারী সুরক্ষার কথা বলেন, সেখানে এত বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও তিনি সেই নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার মত সময় কেন পেলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তবে আজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী চেষ্টা করেছিলেন, যাতে তিনি তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন এবং তিনি কেমন আছেন, সেই ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে পারেন। তবে তিনি আসার আগেই সকালে নির্যাতিতা যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, সেখান থেকেই চিকিৎসকরা ফোন করে তাদের ওপর কি চাপ রয়েছে, তা শুভেন্দু অধিকারীকে জানিয়ে দিয়েছেন। নিজের মুখেই সেই কথা তুলে ধরেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন দুর্গাপুরে পৌঁছে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি ডাক্তারবাবুদের কাছে যাব ঠিক করেছিলাম। জিজ্ঞেস করতাম, আমাদের মেয়েটি কেমন আছে। কিন্তু সকাল আটটায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে ফোন করে বলছেন, আমরা ভীষণ চাপে আছি। ডাক্তারদের বলে দেওয়া হয়েছে, কোথাও মুখ খুলবেন না।” অর্থাৎ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হাসপাতাল থেকে তাকে ফোন করে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা প্রকাশ্য এনে দিলেন। পাশাপাশি তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে, দুর্গাপুরে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে কেউ যাতে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে না পারেন, তার জন্য চিকিৎসকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। আর সেই চাপ কোথা থেকে আসছে, সেই কথাও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে আকার ইঙ্গিতে স্পষ্ট করে দিলেন বিরোধী দলনেতা।