Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

এবার অভিষেকের সই নকল করে টাকা তুলছেন কাউন্সিলর! “তৃণমূল মানেই চোর” কটাক্ষ বিরোধীদের!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে মাঝেমধ্যেই চোর বলে সম্বোধন করতে দেখা যায় বিজেপি নেতাদের। তৃণমূল এবং চুরি দুর্নীতি সমার্থক বলেই দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই নিয়ে বিভিন্ন সময় দুই পক্ষের মধ্যে দড়ি টানাটানিও হয়েছে। কিন্তু এবার তৃণমূলের মধ্যে যে ঘটনা ঘটে গেল, তা দেখে সকলেই চমকে উঠছেন। সকলের মধ্যে একটাই প্রশ্ন যে, সত্যিই কি তাহলে তৃণমূলের মধ্যে রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি? এতদিন তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে মানুষের বাড়ি তৈরির টাকা থেকে শুরু করে আবাস যোজনার টাকা চুরি করার অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। কিন্তু এবার একেবারে স্বয়ং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সই নকল করে টাকা তোলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে‌। যে ঘটনার পরেই কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা বিষয় দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। তবে এর মাঝেই আরও বড় ভয়ংকর খবর সামনে এসেছে। যেখানে এবার একেবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সই জাল করে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে. যদিও বা তিনি অন্য কেউ নন। তিনি আবার তৃণমূলেরই কাউন্সিলর। স্বাভাবিকভাবেই দলের সর্বোচ্চ নেতার সই জাল করার মত সাহস এই তৃণমূল কাউন্সিলর পেলেন কোথা থেকে? তাহলে কি চুরি, দুর্নীতিতে রীতিমত ডুবে গিয়েছে এই রাজ্যের শাসকদলের নেতারা? তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিভাস ঘোষ মানুষের কাছ থেকে প্রচুর টাকা তুলেছেন। এক্ষেত্রে তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সই নকল করে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় প্যাড ব্যবহার করে সেই টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনার সামনে আসার পরেই বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলছে, তৃণমূল মানেই তো চোর। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে তো সেই কথা এবং দাবি আরও বেশি করে স্পষ্ট হয়ে গেল। আসলে এই রাজ্যের শাসক দলের নেতারা এখন নিজেদের ওপর তলার নেতা-নেত্রীদেরও মানতে পারছেন না। তাই তাদের নাম করে যতটা সম্ভব বিদায় বেলায় টাকা উঠিয়ে নেওয়া যায়, তার প্রতিযোগিতা তৃণমূল দলের মধ্যে তৈরি হয়েছে। ‌এভাবেই এরা রাজ্যের সমস্ত কিছুকে ধ্বংস করে দিচ্ছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের।

Exit mobile version