প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিধানসভা নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূলের আতঙ্ক বাড়ছে। এমনিতেই এসআইআরের কারণে তৃণমূল ক্ষমতায় আসতে পারবে কিনা, তা নিয়ে তাদের নেতাদের মধ্যেই যথেষ্ট সংশয় কাজ করছে। তাই এসআইআর হওয়ার পর থেকেই বিজেপি নেতাদের আরও বেশি করে হুমকি, হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতারা। কিন্তু যেখানে এসআইআর নির্বাচন কমিশন করছে, সেখানে বিজেপিকে এই ধরনের হুমকি দিয়ে কি লাভ, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আর এসবের মধ্যেই এবার বিতর্কিত মন্তব্য করে রীতিমত শোরগোল ফেলে দিলেন তৃণমূলের আদিবাসী সেলের নেতা দেব টুডু।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ করা হয় যে, বিজেপি নাকি বাংলাকে বঞ্চিত করছে। কিন্তু যেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ করে তৃণমূল, সেখানে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে টাকা পাঠানো সত্ত্বেও কেন সেই টাকার হিসাব রাজ্যের সরকার দেবে না? তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলে বিজেপি নেতারা। এক্ষেত্রে ১০০ দিনের কাজের টাকা থেকে শুরু করে আবাস যোজনার টাকা নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বঞ্চনার অভিযোগ ওঠার সাথে সাথেই পাল্টা দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয় বিরোধী শিবির। আর এসবের মধ্যেই এবার ১০০ দিনের কাজের টাকা না দিলে বিজেপি নেতাদের গাছে বেঁধে রেখে সেই টাকা চাওয়া হবে বলে মন্তব্য করলেন তৃণমূলের আদিবাসী সংগঠনের নেতা দেবু টুডু। আর একজন তৃণমূল নেতা কিভাবে বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে এই ধরনের হুমকি দিতে পারেন, কি করে এই ধরনের মন্তব্য করতে পারেন, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
যদিও বা তৃণমূল নেতার এই ধরনের হুমকিকে মোটেই আমল দিতে নারাজ বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেই তৃণমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। তারা খুব ভালো মতই বুঝতে পারছে যে, তারা এবার আর ক্ষমতায় ফিরে আসবে না। আর সেই কারণে বিরোধীদের ভয় দেখানোর মত সব রকম চেষ্টা তৃণমূলের নেতারা করছেন। ১০৯ দিনের কাজের টাকা নিয়ে তারা এতদিন দুর্নীতি করেছেন। তাই ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার আগে বাকি টাকাও আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা করতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতারা। আর সেই কারণেই বিজেপিকে ভয় দেখিয়ে তাদের এই ধরনের হুমকি বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের।
