Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

এবার চপ-মুড়ি হাতে নিয়ে রাস্তায় এসএসসির চাকরি প্রার্থীরা! সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজ্য?

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আদালতের নির্দেশে দুর্নীতির কারণে প্রচুর শিক্ষকের ইতিমধ্যেই চাকরি চলে গিয়েছে। যারা যোগ্য, তারা এমনিতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন এই রাজ্য সরকারের বা এসএসসির অসচ্ছতার কারণে। তবে সম্প্রতি আবার এসএসসি পরীক্ষা হয়েছে। যেখানে যারা নতুন পরীক্ষা দিয়েছেন, তারা দাবি করতে শুরু করেছেন যে, যারা যোগ্য ছিলেন, তারাও এবার পরীক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু তাদের কেন বাড়তি ১০ নম্বর দেওয়া হবে? স্বাভাবিক ভাবেই এই বিষয় নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন ক্রমাগত দাবি করছেন যে, কোনো কাজই ছোট নয়। তিনি আবার সম্প্রতি ব্যবসায়ীদের সম্মেলনে চপ, মুড়ি, ঘুগনি বিক্রি করার কথা বলছেন। আর তা নিয়েই যখন বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠছে, ঠিক তখনই ফের আজ পথে নেমে মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিয়ে চপ মুড়ি হাতে প্রতীকী প্রতিবাদ করলেন এসএসসির নয়া চাকরি প্রার্থীরা।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নতুন করে এসএসসির পক্ষ থেকে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। তবে গোটা ব্যবস্থায় জট পাকিয়ে দিয়ে এসএসসি যেভাবে যোগ্যদের পাশাপাশি যারা নতুন পরীক্ষার্থী, তাদেরকেও একসাথে পরীক্ষা নিয়েছে, তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। আর এই পরিস্থিতিতে এসএসসির যারা এবার নতুন পরীক্ষা দিলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন তুলছেন যে, কেন যারা যোগ্য, তাদেরকে ১০ নম্বর বাড়তি দেওয়া হবে? তাহলে তো তারা কোনোমতেই সুযোগ পাবেন না। তারা তো অনেকটাই পিছিয়ে পড়বেন। আর আজ সেই প্রশ্ন তুলে ফের পথে নামতে দেখা গেল এসএসসির নয়া চাকরিপ্রার্থীদের।

সূত্রের খবর, এদিন শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত এসএসসির নয়া চাকরিপ্রার্থীরা একটি মিছিল করেন। যেখানে তাদের হাতে চপ, মুড়ি এবং চায়ের কেটলি ছিলো। অর্থাৎ এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বারবার করে কোনো কাজই ছোট নয় বলে বার্তা দিচ্ছেন, এমনকি স্বনির্ভর হওয়ার জন্য চপ, মুড়ি, ঘুগনি বিক্রি করার কথা বলছেন, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর এই কথার প্রতিবাদ করেই যে এসএসসির নয়া চাকরি প্রার্থীদের এই ধরনের বিক্ষোভ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্বাভাবিকভাবেই মেধাকে অমর্যাদা করে যে রাজ্য সরকার বারবার করে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে বঞ্চনা করছে, এবার তার বিরুদ্ধেই ফের শুরু হয়ে গেল প্রতিবাদ। যার ফলে ২৬ এর নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসক দল সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version