প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর নির্বাচনে বিজেপি শেষ লড়াই দিচ্ছে, তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। সকলেই খুব ভালো করেই জানেন যে, পশ্চিমবঙ্গে এবার লড়াইটা হবে তৃণমূলের সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই যেদিন রাজ্য সভাপতি দায়িত্ব নিয়েছিলেন শমীক ভট্টাচার্য, সেদিন থেকেই তিনি দাবি করে আসছেন যে, তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির কোনো লড়াই হবে না। বরঞ্চ তৃণমূলের আমলে মানুষ যে অপশাসন দেখেছে, তাতে তারা এই দলের ওপর বিরক্ত। আর সেই কারণেই মানুষের সঙ্গেই এবার তৃণমূলের লড়াই হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। আর সাংবাদিক বৈঠক থেকে গতকাল শুভেন্দু অধিকারীকে পাশে নিয়ে আরও একবার পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন শমীক ভট্টাচার্য। বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপিকে এবার ক্ষমতায় আসতে বেশি পরিশ্রম করতে হবে না। মানুষই ঠিক করে নিয়েছে, তারা তৃণমূলের বিসর্জন দেবে।
পশ্চিমবঙ্গের যে রাজনৈতিক চালচিত্র বর্তমানে রয়েছে, তাতে সকলেই বুঝতে পারছেন যে, এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। কিন্তু অনেকের মধ্যেই সংশয় রয়েছে যে, ২০২১ এও এরকম একটি হাওয়া তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবারেও এত রব তুলেও বাজিমাত করতে পারবে তো বিজেপি? নাকি দিনের শেষে আবার বিরোধী দলের আসনই দখল করতে হবে তাদের? তবে প্রথম দিন থেকেই শমীক ভট্টাচার্য নিশ্চিত হয়ে দাবী করে আসছেন যে, এবার তৃণমূলের সঙ্গেই মানুষের লড়াই হবে। আর সেই লড়াইয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিসর্জন অনিবার্য। আর গতকাল আরও একবার সেই দাবি করে বসলেন তিনি।
গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। যেখানে তিনি বলেন, “এতদিন এসআইআরের নাটক করে তৃণমূল নিজেদের দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু বিজেপি এখানে কারও দয়ায় আসেনি। নিজের ক্ষমতায় এসেছে। আমাদের যতই কেস দিক, এবার বিজেপি আসবে। ২০২৬ এর নির্বাচন তৃণমূলের বিসর্জন। এবারের লড়াই বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের নয়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তৃণমূলের লড়াই।”
