Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

এবার কি হবে? কড়া ডোজ তৈরি! শাহের এই পদক্ষেপেই তো ছিটকে যাবে তৃণমূলের!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অবশেষে বাংলার ওপর যে জোর দিচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, তা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে। এতদিন বাংলা নিয়ে সেভাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব গায়ে লাগাচ্ছে না বলে বিজেপির মধ্য থেকেই একটা অভিযোগ ছিল। কিন্তু আগামী ২৯ তারিখ প্রধানমন্ত্রী সফরের পরেই এবার রাজ্যে আসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যেখানে একাধিক সাংগঠনিক বৈঠকে দলের রণকৌশল সম্পর্কে পথ বাতলে দিতে পারেন তিনি।

সূত্রের খবর, আগামী ৩১ তারিখ দিল্লি থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যেখানে রাতে দমদম বিমানবন্দরের আমার কথা রয়েছে তার। আর পর দিন অর্থাৎ ১ জুন একাধিক সাংগঠনিক বৈঠক করার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। যেখানে সাংসদ, বিধায়কদের নিয়েও একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করতে পারেন তিনি। মূলত, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোথাকার কি সাংগঠনিক পরিস্থিতি, তার সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি কি করলে ভালো হবে এবং দল ক্ষমতায় আসবে, সেই সম্পর্কে চূড়ান্ত ডোজ দিতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, অমিত শাহের এই সফর নিঃসন্দেহে বিজেপি নেতা কর্মীদের যথেষ্ট উজ্জীবিত করবে। প্রধানমন্ত্রীর পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজ্যে আসা মানে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির অনেকটাই উজ্জীবিত হয়ে যাওয়া। আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি সাংগঠনিক বৈঠক করেন এবং সেখানে পরামর্শ দেন, তাহলে আগামী দিনে সেই পরামর্শ মোতাবেক চললে দল আরও অনেকটাই শক্তিশালী হবে। আর এটাই তৃণমূলের কাছে প্রধান চিন্তার কারণ বলেই দাবি করছে পদ্ম শিবির।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অমিত শাহ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় আসছেন মানেই বুঝতে হবে, তিনি কোনো কৌশল নিয়েই আসছেন। রাজনৈতিকভাবে তার এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি যদি দলের নেতাকর্মী এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন, তাহলে সেখানে বড় কোনো কৌশল বাতলে দিতে পারেন। আর সেই কৌশলেই ছিটকে যাওয়ার মত অবস্থা হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের।

কেননা চাকরি দুর্নীতি থেকে শুরু করে মহার্ঘ ভাতা, সমস্ত দিক থেকেই এখন চরম অস্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল। আর সেই অস্বস্তিকে কাজে লাগিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য বলে পরিচিত অমিত শাহ যদি রাজ্যে এসে আগামী দিনে পথ চলার ব্যাপারে বড় কোনো পথ বাতলে দেন, তাহলে তা তৃণমূলের জন্য যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version