Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

এবার প্রকাশ্যেই হাত কেটে নেওয়ার হুমকি! বিধায়কের মন্তব্যে চরম বিপাকে মমতা!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এর আগেও বারবার বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। রাজনীতিতে আক্রমণ, প্রতি আক্রমণ অবশ্যই থাকবে। কিন্তু তাই বলে শালীনতার বাইরে গিয়ে যেভাবে হুমকি, হুঁশিয়ারি ক্রমাগত দিতে থাকেন তৃণমূলের কিছু নেতা বিধায়করা, তাতে দল তাদের বিরুদ্ধে যেভাবে নীরব থাকে, তার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। অনেক ক্ষেত্রে দলের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক করা হলেও, লাভের লাভ কিছুই হয় না। উল্টে তারা আরও বিতর্কিত মন্তব্য করে দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেন। সামনেই ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষ যখন একত্রিত হতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই বিজেপি শাসিত রাজ্যের পুলিশ এবং এই রাজ্যের বিজেপি সদস্যদের হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রকাশ্যেই হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দিলেন মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি।

প্রসঙ্গত, ২৬ এর নির্বাচনের আগে দলকে শুদ্ধিকরণের পথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের যে সমস্ত নেতা, বিধায়করা রয়েছেন, তারা যাতে প্রকাশ্যে এমন কোনো মন্তব্য না করেন, যাতে দল অস্বস্তিতে পড়ে, সেই দিকে রাশ টানার চেষ্টা করছেন তিনি। কিন্তু তারপরেও এবার বাঙালি হেনস্থা নিয়ে বলতে গিয়ে প্রকাশ্যেই বিজেপির উদ্দেশ্যে যে হুঁশিয়ারি তৃণমূলের বিধায়ক দিয়ে দিলেন, তাতে চরম অস্বস্তিতে পড়ে গেল রাজ্যের শাসক দল। পাশাপাশি গোটা ঘটনায় তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা হবে, সেই প্রশ্ন তুলে রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর প্রতি চাপ বাড়াতে শুরু করেছে বিজেপি। ঠিক কি বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি?

এদিন বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালি হেনস্থা নিয়ে সরব হন মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি। যেখানে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “কোথাও কোথাও থেকে বাঙ্গালীকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। বিজেপি শাসিত রাজ্যের কোনো পুলিশ এখানকার বিজেপিরা, কেউ যদি কোনো চেষ্টা করে বাঙ্গালীদের গায়ে একটা হাত দেওয়ার, ওর হাতটাকে আমরা কেটে নামিয়ে দেব। এই প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হয়েছে মালদহ জেলার সমস্ত সাধারণ মানুষ এবং বাঙালি মানুষেরা। আমরা চ্যালেঞ্জ করছি বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের, আপনাদের ক্ষমতা থাকলে আপনারা বাঙ্গালীদের ওপর কোনো রকম নির্যাতন করে দেখান। আমাদের ক্ষমতা থাকলে আমরা রুখে দেব। তাই প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেপির সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং আমাদের এখানে যারা ধাপ্পাবাজ, চিটিংবাজ বিজেপি রয়েছেন, তাদের সকলকে বলছি, যদি ক্ষমতা থাকে, বাঙ্গালীদের গায়ে হাত দিয়ে দেখান।”

আর তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যের পরেই গর্জে উঠেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, রাজনীতিতে আক্রমণ হতেই পারে। কিন্তু তাই বলে শালীনতার বাইরে গিয়ে যেভাবে প্রকাশ্যেই হুমকি দিচ্ছেন, হাত কেটে নেওয়ার কথা বলছেন এই তৃণমূল বিধায়ক, তাতে তো আইনশৃঙ্খলা ক্রমশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাচ্ছে। রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর নাম তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের নেতাকে তো তিনি কন্ট্রোল করতে পারছেন না। তাহলে পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে অন্তত এই ধরনের মন্তব্য করার জন্য দলীয় এই নেতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেখান রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী। কিন্তু তিনি সেই ক্ষমতা দেখাতে পারবেন না বলেই দাবি বিজেপির। তবে তৃণমূলের বিধায়ক যেভাবে প্রকাশ্যেই হাত কেটে নেওয়ার কথা বলে হুমকি দিলেন, তাতে ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে যে বিধায়কের এই ধরনের মন্তব্যে চরম বিপাকে পড়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে এক প্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version