Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

একি ঔদ্ধত্য? এবার বিজেপি বিধায়কদের পিটিয়ে জেলে ঢোকানোর হুমকি! বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
অতীতেও বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন মালদহ জেলার তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। বিভিন্ন সময় বিরোধীদের হুমকি, হুঁশিয়ারি দেওয়ার ক্ষেত্রে তার জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু বিতর্কের শিরোনামে এলেও তিনি কোনো কিছুরই পরোয়া করছেন না। এবার একেবারে প্রকাশ্যে তৃণমূলের একটি দলীয় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে যেভাবে বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশ্যে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারতে মারতে জেলে ঢোকানোর হুমকি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক, তাতে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিরোধীরা। তাদের প্রশ্ন, এরপর যদি বিজেপির কোনো বিধায়ক কোনোভাবে আক্রান্ত হন, তার জন্য যদি পুলিশ এখনই এই তৃণমূল বিধায়কের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে সেই ঘটনার পর দায় নিতে হবে এই রাজ্যের প্রশাসনকেই।

ঠিক কি ঘটনা ঘটেছে? এদিন তৃণমূলের একটি দলীয় কর্মসূচি ছিল। যার মূল এজেন্ডা ছিল, বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলা ভাষা এবং বাঙ্গালীদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। আর সেই কর্মসূচিতেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশ্যে বেলাগাম মন্তব্য করেন মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। তিনি বলেন, “ওই সমস্ত বিজেপির যে সমস্ত বিধায়করা আছে, তোমার ছেলের মত তাদেরও রাস্তায় এনে, বুকে লাথি মারতে মারতে, লাঠি দিয়ে পেটাতে পেটাতে তাদেরও আমরা এখানকার জেলে ঢুকিয়ে দেব মা। তোমার চোখের জল আমাদের সহ্য হয় না মা। আমাদের বুক কেঁপে ওঠে, তোমার যে ভিডিওটা আমরা দেখি।” একই সাথে পাগল কুকুরের সঙ্গে তুলনা করে পাগল কুকুর কাউকে কামড়ালে সকল গ্রামবাসী যেমন তাকে পেটাতে পেটাতে মেরে ফেলে, ঠিক সেইরকমই কথা উল্লেখ করতে দেখা যায় এই তৃণমূল বিধায়ককে। আর তার এই বক্তব্য নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয় গর্জে উঠেছে গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল। তাদের বক্তব্য, অবিলম্বে এই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কারণ তিনি যেভাবে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখছেন, তাতে বিরোধীদলের যে কোনো জনপ্রতিনিধির ওপর যে কোনো সময় আক্রমণ নেমে আসতে পারে। তাই আইন হাতে তুলে নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক যে ধরনের হুমকি, হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, তাতে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এরপরেও যদি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ মন্ত্রী চুপ করে বসে থাকেন, তাহলে সত্যিই কিছু বলার নেই। আসলে তৃণমূল জেনে গিয়েছে যে, তারা আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাই এখন সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়ে বিরোধীদলের জন প্রতিনিধিদের ওপর যাতে আক্রমণ নেমে আসে, তার জন্যই এই ধরনের কদর্য হুমকি বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

Exit mobile version