Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

এসব কি চলছে রাজ্যে? ফের বীরভূমে খুন হয়ে গেলেন তৃণমূল নেতা! কোথায় প্রশাসন? উঠছে প্রশ্ন!

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বুকে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের দ্বারা বিরোধীরা আক্রান্ত হয়। এটা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে আছেন তৃণমূল নেত্রী, তার দল যখন ক্ষমতায়, তখন কেন দিকে দিকে তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন? কেন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতে পারছে না এই রাজ্যের শাসক দল? ক্ষমতায় থাকার পরেও কেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজের দলের কর্মীদের সন্তানসম বলে আখ্যা দিলেও তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারছেন না? এই প্রশ্ন উঠছে, তার কারণ, বিধানসভা নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুন হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরাই। যার ফলে বিরোধীরা যেমন এই রাজ্যে নিরাপদ নয়, ঠিক তেমনই শাসক দলের কর্মীরাও যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তা ক্রমশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গ বর্তমানে সন্ত্রাসের আতুড়ঘর হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেই সন্ত্রাসের কারণে শুধু বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাই নয়। শাসক দলের কর্মীরাও প্রতিনিয়ত একটি ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর দ্বারা আর একটি গোষ্ঠী আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু যে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের এত বড় দল দল বলে দাবি করে, যারা নিজেদের শৃঙ্খলাবদ্ধ দল বলে দাবি করে, যে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তার আমলে কেন তৃণমূল কর্মীরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন? কেন প্রাণ যাবে একের পর এক তৃণমূল নেতার? সামনেই যখন বিধানসভা নির্বাচন, তখন ফের বীরভূমে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে প্রাণ হারাতে হলো তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে।

জানা গিয়েছে, এমনিতেই বীরভূম রাজনৈতিকভাবে সরগরম। অনুব্রত মণ্ডল জেল থেকে ফিরে আসার পর মাঝেমধ্যেই শোনা যায় যে, তার গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজল শেখের গোষ্ঠীর অনুগামীদের দ্বন্দ্বের খবর। দলীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বারবার তাদের সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও কাজের কাজ যে কিছুই হয়নি, তা একের পর এক ঘটনার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর এসবের মধ্যেই এবার সেই বীরভূমের নানুরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে খুন হতে হলো তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজবিহারী সর্দারকে। যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করেই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ এবং তার ফলে প্রাণ হারাতে হলো এই তৃণমূল নেতাকে। আর এখানেই প্রশ্ন যে, যত বড়ই ঘটনা ঘটে যাক না কেন, তার জন্য একজন ব্যক্তির প্রাণ কেন কেড়ে নেওয়া হবে? আর যেখানে রাজ্যের শাসক দলের ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, যেখানে তৃণমূলেরই বুথ সভাপতির যদি এইভাবে প্রাণ চলে যায়, তাহলে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের কি অবস্থা, তা তো বোঝাই যাচ্ছে। কি করছেন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? কেন দলের কর্মীদের প্রাণ যাওয়ার পরেও তিনি কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারছেন না? যার ফলে আর এরকম কোনো ঘটনা না ঘটে! কেন তিনি নিরাপত্তার বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করতে পারছেন না? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

Exit mobile version