Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

“এত পচন ছিল না” ভাইপো কালচার নিয়ে ভয়ঙ্কর কথা বলে ফেললেন শুভেন্দু!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে বর্তমানে দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দল পরিবর্তন করে বারবার ভাইপো মডেলকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বারবার করে দাবি করেছেন যে, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এত দুর্নীতি ছিল না। কিন্তু ভাইপো কালচার শুরু হওয়ার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে দুর্নীতি ছেয়ে গিয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি বর্তমানে যে ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে, তাতে অনেক তৃণমূল নেতাদের নাম জড়িয়ে পড়ছে। অনেকে জেলে পর্যন্ত গিয়েছেন। তবে তৃণমূল নেতাদের এই টাকা তোলার পেছনে নিজেদের চেয়ার সুরক্ষিত রাখার বিষয় রয়েছে। ভাইপো কালচারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে এদিন তেমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বলা বাহুল্য, এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা প্রত্যেকটি সভা থেকেই তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন। সামনেই এসএসসির পরীক্ষা রয়েছে। তার আগে তিনি আবার দাবি করছেন যে, তার কাছে অডিও টেপ রয়েছে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র বিক্রি করার। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারীর ফাঁস করা সেই তথ্য নিয়ে রীতিমত চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন যারা এসএসসি পরীক্ষায় বসবেন, সেই সমস্ত পরীক্ষার্থীরা। তাদের মনে একটাই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে, তাহলে পরীক্ষা দিয়ে কি হবে? আর তার মাঝেই এবার রাজ্যে যে দুর্নীতি নিয়ে পচন ধরেছে, সেই সম্পর্কে আরও বড় ভয়ঙ্কর কথা বলে ফেললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “দুর্নীতিকে একদম প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছে। এতটা পচন আগে ছিল না। এর জন্য ভাইপো কালচার দায়ী। ভাইপো কালচার চালু হওয়ার পর এটা হয়েছে। যদি পুলিশকে নেতাদের টাকা তুলে দিতে হয়, আইপ্যাককে টাকা দিয়ে পদ নিতে হয়, সভাধিপতির চেয়ার নিতে গেলে ৫ কোটি টাকা দিতে হয়, যে ৫ কোটি টাকা দিয়ে সভাধিপতি হবে, সে তো ১০ কোটি কামাবে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যজুড়ে যদি এই মডেল চালু হয়ে থাকে, তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর যুক্তি খুব একটা ফেলে দেওয়া যুক্তি নয়। কারণ সত্যিই তো, যারা টাকার বিনিময়ে পদ নেবেন, তারা তো সেই টাকাটা আবার তোলার চেষ্টা করবেন। কারণ নিজের ঘর থেকে কেউ টাকা দেবেন না। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দুবাবুর এই কথা যদি সত্যি হয়ে থাকে এবং সেই জন্যেই যদি দুর্নীতি এত ভয়াবহ পরিমাণে হয়ে থাকে রাজ্যে, তাহলে তা সত্যিই অত্যন্ত বিপদজনক হতে চলেছে গোটা বাংলার জন্য। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

Exit mobile version