Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

ফের বাংলাদেশে শেখ মুজিবরের ভাঙ্গা বাড়িতে তান্ডব! স্মৃতিচিহ্নটুকু রাখতে চায় না বর্বররা!

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
ফের অশান্ত হতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রায় এক বছরের বেশি সময় আগে এই বাংলাদেশে তান্ডব শুরু হয়েছিল কিছু বর্বর মানুষ। তারা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার চালিয়েছিল। এমনকি অগণতান্ত্রিকভাবে শেখ হাসিনাকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে ইউনুস। কিন্তু তারপরেও সামনেই যখন সেই বাংলাদেশে নির্বাচন, তখন আবার কি হিংসার খেলায় মেতে উঠেছে সেই ইউনুস প্রশাসন? ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের একাধিক গৌরবময় স্মৃতি ধ্বংস করার কাজ শুরু করে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। কাজী নজরুল থেকে শুরু করে স্বামী বিবেকানন্দের স্মৃতি পর্যন্ত মুছে ফেলার কাজ করছে তারা। জ্বলছে আগুন। আর এবার শেখ মুজিবর রহমানের যে বাড়িতে অতীতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল, এবার সেখানে ফের ভাঙচুর চালালো বিক্ষোভকারীরা।

সম্প্রতি ফের বাংলাদেশে অরাজকতার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। প্রকাশ্য রাস্তায় এক হিন্দু নিরীহ যুবককে বেধড়ক মারধর করার পর তাকে জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই এপার বাংলাতেও যে সমস্ত হিন্দুরা রয়েছেন, তারা রীতিমত বাংলাদেশে থাকা সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রতিমুহূর্তে আশঙ্কায় রয়েছেন। যে অরাজকতা বাংলাদেশে চলছে, তা কবে শান্ত হবে? কবে কিছু মৌলবাদীরা যে অশান্ত পরিবেশ তৈরি করতে চাইছেন, তাদের বাড়বাড়ন্ত কমবে, তা নিয়ে উস্মা প্রকাশ করছেন সকলেই। আর এসবের মধ্যেই ফের শেখ মুজিবুর রহমানের শেষ স্মৃতিচিহ্নটুকু মুছে ফেলার জন্য কার্যত উদগ্রীব হয়ে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

এর আগে যখন বাংলাদেশে বিক্ষোভ হয়েছিল, তখন শেখ মুজিবরের যে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বাড়ি, যা অত্যন্ত স্মৃতি বিজড়িত, তাকে টার্গেট করা হয়েছিল। যেখানে ব্যাপকভাবে ভাঙচুর চালায় কিছু বর্বর মানুষ। কিন্তু তা করেও তারা শান্ত হয়নি। ফের যখন বাংলাদেশ অশান্ত হতে শুরু করেছে, তখন আবার টার্গেট করা হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের এই স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি। যেখানে ফের হাতুড়ি দিয়ে সেই বাড়ির যে ভাঙ্গা অংশ, তাও ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে। স্বাভাবিকভাবেই কিছু মানুষ বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে যেভাবে অশান্ত করতে চাইছেন, যেভাবে ওপার বাংলায় সমস্ত স্মৃতি মুছে ফেলতে চাইছেন, তা নিয়ে রীতিমত বিরক্ত এপার বাংলা থেকে শুরু করে গোটা ভারত। বর্বরদের এই বর্বরতা, এই হিংস্রতা কখন থামবে, কখন বন্ধ হবে এই হিংসালীলা, সেদিকেই তাকিয়ে বিশ্ববাসী।

Exit mobile version