Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

ফের ভারত ভ্রমণে বেরোবেন মমতা! “একের পর এক রাজ্যে গোল্লা খেয়েছেন” তিক্ত অতীত স্মরণ করালেন শুভেন্দু!  

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এখন এতটাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে গিয়েছেন যে, বিজেপিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। বিজেপির মত সর্বভারতীয় দল, তাদের তিনি চাপে রাখার চেষ্টা করছেন। তিনি ভাবছেন যে, বাংলায় এসআইআর যখন হচ্ছে, যখন তার ভোটব্যাংক টিকিয়ে রাখা যাবে না, তখন তিনি বিজেপিকে হুমকি দেবেন, আর বিজেপি ভয় পেয়ে যাবে। এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখনই এই রাজ্যের বুকে চাপে পড়েছেন, তখনই বিজেপিকে পাল্টা চাপে রেখে হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন যে, তিনি ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ভ্রমণ করবেন, সেখানে কর্মসূচি করবেন। সেই মত অনেক রাজ্যে তিনি এবং তার ভাইপো মিলে কর্মসূচি পর্যন্ত করেছেন। কিন্তু দিনের শেষে নিট ফল শূন্য হয়েছে। ত্রিপুরা থেকে গোয়া, বিভিন্ন রাজ্যের তৃণমূলের কি করুন পরিণতি হয়েছে, গতকাল বনগাঁর সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার ভারত ভ্রমণে বেরোনোর কথা বলতেই সেই তিক্ত অতীত স্মরণ করিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

গতকাল এসআইআরের বিরোধিতায় বনগাঁয় একটি সভা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি এতটাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন এই এসআইআরের চাপে যে, যা খুশি তাই বলতে শুরু করেন। ভারত হিলিয়ে দেওয়ার মত মন্তব্য করতেও শোনা যায় এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে। শুধু তাই নয়, বিধানসভা নির্বাচনের পর তিনি একটু ভারত চষে বেড়াবেন বলেও সেই প্রকাশ্য সভা থেকে মন্তব্য করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আর তার সেই মন্তব্যের পাল্টা বীরভূমের মাটি থেকে জবাব দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুঝিয়ে দিলেন যে, এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার ভাইপো দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন কর্মসূচি করেছে। কিন্তু দিনের শেষে সেই সমস্ত রাজ্যে করুন পরিণতি হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। এমনকি জাতীয় দলের তকমাও খোয়াতে হয়েছে এই রাজ্যের শাসক দলকে।

এদিন বনগাঁয় মুখ্যমন্ত্রী ভারত ভ্রমণ করার যে মন্তব্য করেছেন, তার পাল্টা জবাব দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আপনি তো ভারত ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন ২১ সালের পরে। আপনি এবং আপনার ভাইপো বলেছিলেন, বাংলা জিতেছি। আমরা এবার বেরিয়ে পড়লাম, ভারত দখল করবো। প্রথমে গেলেন ত্রিপুরাতে। ত্রিপুরায় ভোট হলো। আপনার আইপ্যাক, প্যাকপ্যাককে পাঠালেন। ত্রিপুরায় ভোটের ফল বেরোলো। নোটার নিচে তৃণমূল। তারপর গেলেন গোয়াতে। বললেন, ৫ হাজার টাকা করে লক্ষীর ভান্ডার দেব। কিন্তু ওনার টুপি গোয়ার লোক পড়েনি। তৃণমূলকে টাটা বাই বাই করে দিয়েছে। মেঘালয়ে গিয়ে একটি দল ভাঙালেন, সেখানেও হারলেন। আর আপনার পার্টি মেঘালয়, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, গোয়ার নির্বাচনের পরে জাতীয় দলের তকমা হারালো। তৃণমূল নামটাই এআইটিসি‌। কিন্তু তৃণমূল হলো আঞ্চলিক পার্টি।”

Exit mobile version