প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এর আগেও বারবার করে খবরের শিরোনামে এসেছেন তিনি। দলীয় কোন্দল হোক বা অন্য কোনো বিষয় প্রতিনিয়ত তাকে নিয়ে চর্চা হয়েছে। আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সেই সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এমন এক কর্মকাণ্ড করে বসলেন, যার ফলে বিরোধীরা আরও বেশি করে বলার সুযোগ পেয়ে গেল যে, এই রাজ্যে তৃণমূল দল এবং সরকার দুটোই এক। সরকার এবং দলের মধ্যে কোনো পৃথকীকরণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করতে পারেননি। কিন্তু কেন এমনটা বলছে বিরোধীরা? কি এমন করে বসলেন সিদ্দিকুল্লা সাহেব?
প্রসঙ্গত, গোটা রাজ্যজুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের প্রকল্প আমার পাড়া, আমার সমাধান চলছে। বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করে সরকারি আধিকারিকরা মানুষের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন। যেখানে জনপ্রতি নিধিরাও পৌঁছে যাচ্ছেন। আর সেই ক্যাম্পেই যাওয়ার সময় এমন এক কাজ করে বসলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, যার ফলে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীদের প্রশ্ন, সামান্য কাণ্ডজ্ঞানটুকুও কি একজন মন্ত্রী নেই যে, কোথায় কি করতে হয়?
সূত্রের খবর, এদিন আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান ক্যাম্পে যান মন্তেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। কিন্তু তিনি একজন মন্ত্রী। আর মন্ত্রীর গাড়িতে সেই সময় লাগানো ছিল তৃণমূলের পতাকা। স্বাভাবিকভাবেই এই চিত্র সামনে আসতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তিনি তৃণমূলের নেতা হতে পারেন। কিন্তু তিনি তো একজন মন্ত্রী হিসেবে সেখানে যাচ্ছেন। ফলে তিনি তো সাধারণ মানুষের মন্ত্রী। কিন্তু তার আগেই তিনি যেভাবে নিজের গাড়িতে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে সেই গাড়ির ভেতর থেকে এই সরকারি প্রকল্পের প্রচার করছেন, তাতে বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, তৃণমূল দল এবং প্রশাসন তো আলাদা নয়। এই ঘটনা আবার তার দিকেই ইঙ্গিত করলো। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সরকারি ক্যাম্পে যাওয়ার আগে নিজের সরকারি গাড়িতে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে, সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা একমাত্র তৃণমূল কর্মীরাই পাবে। সাধারণ মানুষের জন্য সরকার নয়। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।