Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

ফের চরম অস্বস্তিতে মমতা? ২৬ এর পরেই সুদে আসলে হিসাব নেবেন শওকত মোল্লা!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজনীতিতে আক্রমণ, প্রতি আক্রমণ থাকবে। কিন্তু মাঝেমধ্যেই হুমকি, হুঁশিয়ারি এবং শালীনতার মাত্রা যেভাবে অতিক্রম করে যান বিভিন্ন দলের নেতারা, তা নিঃসন্দেহে বঙ্গ রাজনীতিকে বারবার কলুষিত করে। অন্তত তেমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। মাঝেমধ্যেই এই রাজ্যের বেশ কিছু এলাকাকে উত্তপ্ত হতে দেখা যায়। যার মধ্যে রয়েছে ভাঙ্গড়। আর এবার সেই ভাঙ্গড়ের মাটিতে দাঁড়িয়েই তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা যে হুঁশিয়ারি দিলেন, তার ফলে রীতিমত বিধানসভা নির্বাচনের আগে অস্বস্তিতে পড়ে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কি এমন বললেন শওকত মোল্লা, যার জন্য রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে?

প্রসঙ্গত, আজ ভাঙ্গরের পাগলাহাটে এসআইআরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে রীতিমত আইএসএফের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে বসেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। তিনি বলেন, “আইএসএফের সমাজ বিরোধীদের সতর্ক করে বলতে চাই। হিসেবটা করে রাখুন। ২০২৬ এর পর সুদে-আসলে কড়ায়, গন্ডায় আমরা বুঝিয়ে দেব। আগুন নিয়ে খেলা করবেন না। অনেকে প্রাণ হারিয়েছে। আপনার হুজুরকে জিজ্ঞাসা করুন। ভাঙ্গড়ে এসে সংখ্যালঘু মুসলমানদের জন্য কথা বলে, আর বিধানসভায় গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে মাঝামাঝি করে।”

আর এজন শাসকদলের বিধায়ক হয়ে যেভাবে শওকাত মোল্লা সরাসরি নাম না করে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে আক্রমণ করলেন, তাতে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই বলছেন, এর ফলে যদি কোনো অশান্তি ছড়ায়, তাহলে তার দায় শওকত মোল্লা নেবেন তো? তিনি শাসক দলের বিধায়ক হয়ে যেভাবে আইনের দিকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন এবং সরাসরি বিরোধীদের হুমকি দিচ্ছেন এবং হিসেব নেওয়ার কথা বলছেন, তাতে তো এলাকায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। যদি এরপর ভাঙ্গড় আবার অশান্ত হয়ে ওঠে, তাহলে তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যের জন্য দায় নিতে হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বলেই দাবি বিরোধীদের। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলীয় বিধায়কের এই ধরনের হুমকি হুঁশিয়ারি যে রীতিমত অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version