প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বর্তমানে বিহারে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন এবং এসআইআরের পর থেকেই আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলাতেও ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন প্রয়োজন এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়িত করার দাবি জানাতে শুরু করেছে বিজেপি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে যদি সত্যি সত্যিই নির্বাচন কমিশন বাংলাতেও এই ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনী প্রক্রিয়া শুরু করে, তাহলে প্রবল চাপের মুখে পড়ে যেতে পারে তৃণমূল সরকার বলেই দাবি করছে বিজেপি। আর এসবের মধ্যেই এবার কি সেই এসআইআরের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে দিল্লিতে আন্দোলনের নামে যে অসভ্যতা একসময় তৃণমূলের সাংসদরা করেছিলেন, সেই একই রকম অসভ্যতা আবার তারা রিপিট টেলিকাস্ট করবেন?
প্রসঙ্গত, বিহারে এসআইআরের প্রতিবাদে সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ইন্ডি জোটের সাংসদরা। যেখানে রয়েছেন কংগ্রেস এবং তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরাও। আর এবার সেই এসআইআর নিয়ে বলতে গিয়ে গোটা প্রক্রিয়াকে সাইলেন্ট ইনভিসিবল রিগিং বলেই আখ্যা দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, এই এসআইআর নিয়ে ভবিষ্যতে কি দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি হবে, ঘেরাওয়ের মত কর্মসূচি করবে তৃণমূল, সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন এই তৃণমূল সাংসদ।
এসআইআর নিয়ে ঘেরাও কর্মসূচির বিষয়ে প্রশ্ন করতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ঠিক সময়ে হবে। সব একদিনে হয় না। ১০০ দিনের টাকা নিয়েও হয়েছে, বাংলার ওপর অপমান করলেও হবে।” আর এখানেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, ১০০ দিনের কাজের টাকা ফেরতের দাবিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দিল্লিতে যে প্রতিবাদের নামে অসভ্যতা করা হয়েছে বলে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, সেই একই রকম ঘটনার কি পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে রাজধানীর মাটিতে? তৃণমূল কংগ্রেসের এত ভয় কিসের? যদি তারা স্বচ্ছ ভাবে নির্বাচনে প্রক্রিয়াতেই জিতে আসবে, যদি তারা কাজই করে থাকবে, তাহলে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনী যদি বাংলায় শুরু হয়, তাহলে তৃণমূল এত কেন তার বিরোধিতা করছে? তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। তবে পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রকে বিনষ্ট করা তৃণমূল কংগ্রেস যদি দিল্লিতেও এসআইআরের বিরোধিতা করতে গিয়ে অসভ্যতা করে, তাহলে তাদের উচিত শিক্ষা দেবে প্রশাসন বলেই দাবি রাজনৈতিক সমালোচকদের।