Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

ফের দলবদল করতে চলেছেন হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক? শোরগোল ফেলে দিলেন শুভেন্দু!

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
তৃণমূলের সকলেই এখন চোখ মুখ বন্ধ করে এসআইআরের বিরোধিতা করতে শুরু করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তৃণমূলের এক বিধায়ক এসআইআরের ক্ষেত্রে কোনো আপত্তি দেখছেন না। স্বাভাবিকভাবেই সেই আব্দুল গনিকে নিয়ে জল্পনা বাড়ছে বিভিন্ন মহলে। যখন গোটা তৃণমূল পরিবার এসআইআরের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য সভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করছেন, নির্বাচন কমিশনকে কটাক্ষ করছেন, তখন তৃণমূল বিধায়কের এই ধরনের মন্তব্য রীতিমত শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। আর সেই বিষয়েই বলতে গিয়ে তৃণমূল বিধায়কের এসআইআর নিয়ে আপত্তি না থাকার যেমন মন্তব্য সামনে এসেছে, তাতে তিনি খুব তাড়াতাড়ি অন্য দলে যেতে পারেন বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এসআইআর হওয়ার অনেক আগে থেকেই তৃণমূল নেত্রী দাবি করতে শুরু করেছিলেন যে, তিনি নাকি কোনোমতেই এসআইআর হতে দেবেন না। পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হয়েছে। ইতিমধ্যেই সিস্টেমে আপলোড করার সময়সীমাও পার হয়ে গিয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রতিনিয়ত দাবি করছেন, প্রায় ১ কোটির কাছাকাছি নাম বাদ যেতে পারে। আর এসবের মধ্যেই তৃণমূল যখন এসআইআরের বিরোধিতা করছে, তখন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল গনি আবার এসআইআরের ক্ষেত্রে কোনো রূপ সমস্যা দেখতে পাচ্ছেন না। আর দল যখন এক মন্তব্য করছে, তখন তিনি এসআইআরের পক্ষে মন্তব্য করায় তার গতিবিধি নিয়ে মন্তব্য করে রীতিমত শোরগোল ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন তৃণমূল বিধায়কের এসআইআরের পক্ষে মন্তব্য নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে শুভেন্দুবাবু বলেন, “ও মনে হয় পালাবে। হয় হুমায়ুনের দলে যাবে, না হলে মিমে যাবে। আইপ্যাক মনে হয় বলে দিয়েছে, টিকিট দেবে না। উনি ওনার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলকে জেতাতে পারেননি। সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের ইশা খান চৌধুরী অনেক ভোটে লিড নিয়েছে সুতরাং ওনার প্রতি, ওনার দলের প্রতি, ওনার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি, ওনার বিধানসভা কেন্দ্রের, যেখানে ৯০ শতাংশ মুসলমান, তারা অনাস্থা প্রকাশ করেছে গত লোকসভা নির্বাচনে।”

Exit mobile version