Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

ফের গুলশান কলোনিতে বোমা, গুলি! আতঙ্কের ভিডিও পোস্ট করে সোচ্চার শুভেন্দু!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
শহর কলকাতা নিরাপত্তা যে একেবারে প্রশ্নের মুখে, তা বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত। এর আগেও আতঙ্কের নাম হয়ে গিয়েছিল গুলশান কলোনি এলাকা। আর এবার বাইপাস সংলগ্ন সেই আনন্দপুর থানা এলাকার গুলশান কলোনিতে আবারও বোমা বিস্ফোরণ এবং গুলি চালানোর মতো ঘটনা ঘটলো। ভর সন্ধ্যেবেলা প্রথমে গুলি চালানো, তারপর আবার মাঝরাতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। আর বারবার করে কেন এই গুলশান কলোনী এলাকা এইভাবে অশান্ত হচ্ছে, এবার তা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্জে উঠলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, গতকালই আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গুলশান কলোনি। একেবারে ভর সন্ধ্যেবেলা এই ব্যস্ততম এলাকায় যেভাবে দুষ্কৃতীরা এসে প্রথমে গুলি চালালো এবং তারপর যেভাবে বোমা বিস্ফোরণ হলো, তাতে রীতিমত আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এলাকায়। কেন বারবার করে এই এলাকা এত উত্তপ্ত হচ্ছে? কোথা থেকে সমাজবিরোধীরা আশ্রয় নিচ্ছে? কাদের প্রশ্রয়ে দাপাদাপি চালাচ্ছে তারা! এই প্রশ্ন সকলের মধ্যেই রয়েছে। আর এবার আইনকে হাতে তুলে নিয়ে যেভাবে বন্দুক বাজরা মাঝেমধ্যেই অশান্ত করে তুলছে এই এলাকাকে, এবার তা নিয়েই সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যেখানে সরকারের অপশাসনের কারণে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং এসবের পেছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে বলেই দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় গুলশান কলোনির হাড়হিম করা ভিডিও পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যেখানে তিনি লেখেন, “মা মাটি মানুষের সরকার এখন শুধু মাফিয়া, মস্তান, মার্ডারদের সরকারি পরিণত হয়েছে।” শুভেন্দুবাবুর প্রশ্ন, “কারা এই ভাবনাহীন বন্দুকবাজ? কি করে প্রায় এত সাহস?” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু বিরোধী দলনেতার এটা প্রশ্ন নয়। তৃণমূলের অনেকেও এই দুষ্কৃতীদের দাপাদাপিতে রীতিমত আতঙ্কিত জায়গা এবং এলাকা দখল নিয়ে এই যে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ এবং তার ফলেই যে দুষ্কৃতীরা এত বাড়াবাড়ি শুরু করেছে, তা অনেকেই আড়ালে আবডালে স্বীকার করে নিচ্ছে। এর আগেও তৃণমূলের কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর মত ঘটনা ঘটেছে আনন্দপুর এলাকায়। স্বাভাবিকভাবেই আবার এই গুলশান কলোনি যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো, তাতে শহর কলকাতার নিরাপত্তা এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তোলার সুযোগ পেয়ে গেল বিরোধীরা।

Exit mobile version