Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

ফের রাজ্যে SIR আতঙ্কে মৃত্যু! তৃনমূল চেঁচামেচি শুরু করতেই গুরুত্বহীন করে দিলেন শুভেন্দু!

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এখন একটাই বিষয় নিয়ে সব থেকে বেশি চিৎকার চেঁচামেচি করতে শুরু করেছে যে, এসআইআরের ফলে নাকি মানুষ খুব টেনশনে রয়েছে। আর এর ফলে নাকি একের পর এক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। অর্থাৎ স্বাভাবিক কোনো মৃত্যু হলেও তাকে এসআইআরের আতঙ্কে মৃত্যু বলে চালিয়ে দিতে শুরু করেছে এই রাজ্যের শাসক দল। আসলে তারা এই এসআইআর হওয়ার ফলে রীতিমত আতঙ্কে রয়েছে। আর তাই এসআইআর যাতে না হয়, তার জন্য এখন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে বিষয়টিকে সামনে এনে যেভাবেই হোক, তাকে বানচাল করার একটা সূক্ষ্ম পরিকল্পনা তৃণমূলের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। আর শাসকের এই ষড়যন্ত্রের বিষয়টি খুব ভালো মতোই উপলব্ধি করতে পেরেছে বিরোধীরা। তাই অন্য কোনো রাজ্যে এসআইআর হলেও এরকম মৃত্যু হচ্ছে না। কিন্তু বেছে বেছে পশ্চিমবঙ্গেই কেন হচ্ছে এবং এখানকার শাসক দল কেন এত চিৎকার চেঁচামেচি করছে, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু তৃণমূল নিজেদের সবটা দিয়ে চেষ্টা করছে, এই প্রচারকে বাস্তবের মাটিতে প্রতিষ্ঠিত করার আবারও এক মৃত্যুর ঘটনাকে হাতিয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে, এসআইআরের আতঙ্কেই এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাদের এই সমস্ত কথা যে পুরনো হয়ে গেছে এবং তাদের কথার যে কেউ গুরুত্ব দেয় না, তা বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এই রাজ্যে বর্তমানে যেখানেই যা মৃত্যু হচ্ছে, সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেস ঝাঁপিয়ে পড়ছে। তারা একটাই দাবি করছে যে, এই মৃত্যুর পেছনে এসআইআর দায়ী। এসআইআরের আতঙ্কেই একের পর এক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। তবে যতদিন এসআইআর চলবে, ততদিন স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলেও সমস্ত কিছুর কারণ হিসেবে এসআইআরকে দায়ী করবে তৃণমূল বলে পাল্টা কটাক্ষ করছে বিজেপি। আবারও এই রাজ্যের শাসক দল এসএসকেএমে এক গৃহবধূর বিষ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনায় এসআইআরের আতঙ্ক দায়ী বলে দাবি করতে শুরু করেছে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই তৃণমূল যে অনেক কিছুই দাবি করে এবং তাদের সব কথার যে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন এক গৃহবধুর বিষ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে এসআইআর আতঙ্ককে কারওর হিসেবে সামনে আনার চেষ্টা করা হলে সেই বিষয় নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ওনারা তো অনেক কিছুই দাবি করতে পারেন। ওনারা তো প্রত্যেকটা লোকসভা ভোটের আগেই দাবি করেন, মমতা ব্যানার্জি প্রধানমন্ত্রী হবে। ওদের কোনো একটা মুখপাত্র বলছিলেন ৩৫ সাল অব্দি মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী, তারপরে প্রধানমন্ত্রী, তারপরে ওনার ভাইপো মুখ্যমন্ত্রী। সুতরাং দাবি করতেই পারেন।”

 

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনে পূরণ হবে না, ঠিক তেমনই এসআইআরের আতঙ্কে তারা এখন যে সমস্ত কথা রটিয়ে দিতে শুরু করেছে যে, যারই মৃত্যু হচ্ছে, তার এসআইআরের আতঙ্কে, তাতেও এসআইআর কোনোদিন এই পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ হবে না। তৃণমূল কংগ্রেস শেষ চেষ্টা করছে এসআইআর আটকানোর। আর সেই কারণেই যখনই যে মৃত্যু হচ্ছে, তখনই তার কারণ হিসেবে এসআইআরকে সামনে আনা হচ্ছে। আর তাই তৃণমূলের এই সমস্ত দাবিকে যে কেউ গুরুত্ব দেয় না এবং তাদের দাবি অনুযায়ী যে এসআইআরও এই পশ্চিমবঙ্গ বন্ধ হবে না, তা স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

Exit mobile version