প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসিকে পরীক্ষা নিতে হয়েছে। তবে প্রথম থেকেই বিরোধীরা দাবি করে এসেছে যে, এই পরীক্ষার কোনো মানে হয় না। কারণ আবার এই প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি করার চেষ্টা করবে রাজ্য। আর এসএসসি প্রক্রিয়ায় ফল প্রকাশের পর ইন্টারভিউ শুরু হতেই যে সমস্ত অভিযোগ সামনে আসছে, তাতে ফের প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে এসএসসি কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য সরকার। যারা যোগ্য ছিলেন, তাদের বক্তব্য যে, তারা পরীক্ষা দেওয়ার পরেও তাদেরকে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় দেখা হয়নি। এক্ষেত্রে অনেক অযোগ্যদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর তার মাঝেই এবার সেই যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক, শিক্ষিকাদের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ইতিমধ্যেই এসএসসির ফল প্রকাশের পর শুরু হয়েছে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। তবে অভিযোগ উঠেছে যে, অনেক ফ্রেশার্স পরীক্ষার্থী, যারা পুরো নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে ডাকা হয়নি, তাদের ভবিষ্যৎ কি হবে? কেন তাহলে তাদের জীবন নিয়ে এইভাবে ছিনিমিনি খেললো রাজ্য সরকার এবং এসএসসি কর্তৃপক্ষ? আবার যারা যোগ্য ছিলেন, যারা পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাদের মধ্যেও অনেককে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে কি আবার অযোগ্যদের সুযোগ করে দেওয়ার একটা চেষ্টা হচ্ছে? আর এসবের মধ্যেই যখন যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকরা প্রশ্ন তুলছেন, যখন ফ্রেশার্সরা প্রশ্ন তুলছেন, ঠিক তখনই সেই যোগ্য চাকরি হারাদের কথা শুনতে তাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন কলকাতায় বিজেপির কার্যালয়ে মুরলীধর সেন লেনে উপস্থিত হন যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটি প্রতিনিধি দল। আর সেখানেই তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে প্রতিনিধি দলের সমস্ত অভাব অভিযোগের কথা শোনেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দুবাবু যারা যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন, যারা আবার পরীক্ষা দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, তারা ইন্টারভিউয়ে ডাক না পাওয়ার জন্য তাদের সঙ্গে যে সাক্ষাৎ করলেন, তাতে তিনি তাদের কি বার্তা দিলেন, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। তবে দীর্ঘদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারী দাবি করছেন যে, বর্তমান সরকার এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়ারে থাকলে কোনোদিন স্বচ্ছ নিয়োগ হবে না। তাই এক্ষেত্রে আবার যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে, সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যখন যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে বৈঠক করলেন, তাহলে কি তিনি তাদের সঙ্গে বৈঠকে বড় কোনো রূপরেখা সংক্রান্ত বার্তা দিলেন? গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।