Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

ফের তৃণমূল নেতার অসভ্যতা, হাসপাতালে ঢুকে মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীকে ধমক! সোচ্চার বিরোধীরা!  

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই। বিশেষ করে হাসপাতালের ভেতরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যে গাফিলতি নজরে আসছে এবং যেভাবে মহিলাদের ওপর নির্যাতনের খবর সামনে আসছে, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করছে বিরোধীরা। আর সেসবের মধ্যেই এবার উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের মহকুমা হাসপাতালে ঢুকে এক মহিলা স্বাস্থ্য কর্মীকে ধমক দেওয়ার অভিযোগ উঠলো তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বলা বাহুল্য, সাম্প্রতিককালে রাজ্যের একের পর এক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। বীরভূম থেকে শুরু করে উলুবেড়িয়ার ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে বিরোধীরা। তাদের একটাই বক্তব্য যে, চিকিৎসকদের ওপর যে হেনস্থার ঘটনা ঘটছে, তাতে কোথায় এই রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী এবং তার স্বাস্থ্য দপ্তর? কেন কিছু মানুষ হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে এইভাবে মহিলাদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছেন? আর এসবের মধ্যেই ঘটনা কমা তো দূরের কথা, উল্টে আরও বাড়তে শুরু করলো। যেখানে ইসলামপুরের মহকুমা হাসপাতালে এক রোগী ভর্তি হওয়ার পর তিনি সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর তাকে ছুটি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। আর সেই সময় হাসপাতালে রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, কোনো ডাক্তার বা নার্স ছিলেন না। যার ফলে চিকিৎসা না পেয়ে সেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলেই অভিযোগ ওঠে।‌ আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই হাসপাতালে এসে ধমক দেন তৃণমূল নেতা কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলে খবর।

অভিযোগ, রোগী মৃত্যুর খবর পাওয়ার সাথে সাথেই হাসপাতালে আসেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। জানা যায়, সেখানে তিনি এক মহিলা স্বাস্থ্য কর্মীকে রীতিমত ধমক দেন। রোগীর পরিবারের অভিযোগ ছিল যে, ডাক্তার এবং নার্স না থাকার কারণে এবং চিকিৎসা না পাওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। আর সেই খবর পাওয়ার সাথে সাথেই হাসপাতালে এসে তৃণমূল নেতা যেভাবে এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীকে ধমক দিলেন, তার ফলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।‌ অনেকে বলছেন, যদি সত্যিই চিকিৎসা ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি থাকে, তাহলে আইন অনুযায়ী অবশ্যই পদক্ষেপ হবে। কিন্তু তাই বলে আইন হাতে তুলে নিয়ে শুধুমাত্র তৃণমূল নেতা বলেই কি কোনো স্বাস্থ্য কর্মীকে এইভাবে ধমক দেওয়া উচিত? এর ফলে তো দিকে দিকে রাজ্যের হাসপাতালের ভেতরে যারা স্বাস্থ্য কর্মীরা রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে যদি চুন থেকে পান খসার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে তো কিছু মানুষ তান্ডব চালাতে শুরু করবেন! তখন তা সামাল দিতে পারবে তো প্রশাসন? স্বাভাবিকভাবেই রক্ষক যদি ভক্ষক হয়ে এই ধরনের আচরণ করেন, তাহলে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।

Exit mobile version