Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

ফের উত্তরবঙ্গ সফরে যাবেন মমতা! “দিন শুরু হয় ১২ টায়, টেবিল টেনিস খেলেন” পাল্টা শুভেন্দু!

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গকেও যথেষ্ট ভালোবাসেন। মাঝেমধ্যেই তিনি উত্তরবঙ্গ সফরে আসেন। তা দেখে অনেকেই আহ্লাদিত হয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে এর আগেও কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বারবার করে বলেছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে ছুটি কাটাতে যান। সেখানে মনোরম আবহাওয়ায় তিনি সময় কাটান। মানুষের উন্নয়নে উত্তরবঙ্গের মানুষের পাশে থাকার জন্য তিনি সেখানে যান না। আর সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে যে দুর্যোগ হয়েছে, সেখানে যেভাবে প্রচুর মানুষের মধ্যে হাহাকার আর্তনাদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তারপর প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সেই উত্তরবঙ্গ সফর সেরে এসেছেন। তবে আবার খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, আগামী সোমবার তিনি উত্তরবঙ্গে যেতে পারেন। আর সেই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতেই উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কেন যান, তা নিয়ে তাকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বলা বাহুল্য, বর্তমানে উত্তরবঙ্গে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যে পর্যটন ক্ষেত্র সকলের প্রিয়, সেখানে বন্যা বিপর্যয়ে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর তার মধ্যেই রাজ্য প্রশাসনের উদাসীন মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু তার সেই মানুষের পাশে থাকার সদিচ্ছা নিয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আর আগামী সোমবার আবার মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে যেতে পারেন, এই খবর সামনে আসার সাথে সাথেই পাল্টা মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পাহাড়ে গেলে মুখ্যমন্ত্রীর দিন শুরু হয় দুপুর বারোটায়। শেষ হয় চারটেয়। বারোটা থেকে চারটে পর্যন্ত তিনি চকলেট বিলি করেন। দরকার হলে বন্ধ চা বাগান খুলিয়ে চা পাতা তোলেন। তারপর বিকেলে এসে টেবিল টেনিস খেলেন। আর মুড়ি এবং আলুর চপ খান।” অর্থাৎ শুভেন্দু বাবু স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন যে, মানুষের বিপদে তাদের পাশে থাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন না। বরঞ্চ উত্তরবঙ্গে শীতের আগে যে মনোরম পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা দেখার জন্য এবং সময় কাটানোর জন্যই তার এই উত্তরবঙ্গ সফর। আর শুভেন্দু অধিকারীর এই কটাক্ষমূলক মন্তব্য যে যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে রাজ্যের শাসক শিবিরের কাছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version