প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু জাগরণ হচ্ছে, এটা দেখে তৃণমূল কি ভয় পেতে শুরু করেছে? তারা কি বুঝতে পারছে যে, এবার আর তারা ক্ষমতায় টিকে থাকবে না। হিন্দুরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, যেভাবে মৌল উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে তারা সোচ্চার হচ্ছেন, তাতে হিন্দু ভোট এবার যেতে পারে অন্যদিকে। আর সেই কারণেই কি পাঁচ লক্ষ কন্ঠে ব্রিগেডে আজ যে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছে, তাতে রাজনীতি খুঁজতে শুরু করেছেন তৃণমূলের নেতারা? তবে যখন হিন্দু সনাতনীরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন যখন এত বড় কর্মসূচি হচ্ছে যখন সকলকে এই কর্মসূচিতে আহ্বান জানানো হয়েছে, যখন এখানে কোনো রাজনীতির বিষয় নেই, তখন তৃণমূল কেন রাজনীতি টেনে আনছে, তা অনেকেই বুঝতে পারছেন না। অনেকে বলছেন, খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেও তো এই কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি কেন এলেন না? আর এই পরিস্থিতিতে এবার সেই ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় জবাব দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
ইতিমধ্যেই ব্রিগেডে ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠ শুরু হয়ে গিয়েছে। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই তা শেষ হবে। এত বড় মহতী কর্মযজ্ঞে উজ্জীবিত হিন্দু সনাতনীরা। তবে সেখানে যখন দিলীপ ঘোষ উপস্থিত হয়েছিলেন, তখন তৃণমূলের এই গীতা পাঠ নিয়ে যে বক্তব্য, সেই প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই ব্যাপারেই পাল্টা জবাব দিয়ে তৃণমূলের ক্ষমতা থাকলে তারাও এইরকম কর্মসূচি করুক। সেই বক্তব্য রেখে রাজ্যের শাসক দলকে পাল্টা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
এদিন ব্রিগেডে ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন যে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে এই কর্মসূচিতে রাজনীতি করার অভিযোগ উঠছে। আর সেই ব্যাপারে পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওদের করতে কে বারণ করেছে? দম থাকলে কর। আমরাও করব। আমরা রাম মন্দির করেছি, কৃষ্ণ মন্দির করেছি। এটাও করব।”
