Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

Big breaking গর্জে উঠছে জনতা! অভয়ার বিচারে “ছিঃ মমতা” প্ল্যাকার্ড হাতে রাজপথে শুভেন্দু!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অভয়ার এক বছর হয়ে গেল, কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিচার হয়নি। এই রাজ্যের প্রশাসন এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যদি প্রথম দিন থেকে সদর্থক ভূমিকা পালন করতেন, তাহলে আজকে এইভাবে রাস্তায় নামতে হত না অভয়ার মা-বাবাকে। ইতিমধ্যেই তারা নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন। আর সেই অভিযান সফল করতে শুরু হয়ে গিয়েছে মিছিল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, অরাজনৈতিক ভাবে বিজেপির সমস্ত কর্মীরা এই মিছিলে অংশ নেবেন। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু বাবুসহ বিজেপি বিধায়করা সেই মিছিল যেখান থেকে শুরু হবে, সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। আর শুরুও হয়ে গিয়েছে মিছিল।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে ডোরিনা ক্রসিংয়ে পৌঁছে গিয়েছেন। আর সেখান থেকেই একদিকে জাতীয় পতাকা এবং একদিকে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রচুর মানুষ মিছিলে সমবেত হয়েছেন। যে মিছিলে রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তার হাতেও “ছিঃ মমতা” প্ল্যাকার্ড দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে যারা এই মিছিলে সমবেত হয়েছেন, স্বতঃস্ফূর্তভাবে যে সমস্ত মানুষরা অভয়ার মৃত্যুর বিচার চাইছেন, তাদের অনেকেরই হাতে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে প্ল্যাকার্ড।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নবান্ন অভিযানের অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। এই রাজ্যের বিরোধী দল নেতা বারবার করে স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি শুধুমাত্র বিজেপির বিরোধী দলনেতা নন। এই রাজ্যের শাসকের দ্বারা যারাই যেখানে অত্যাচারিত হবে, আক্রান্ত হবে, তিনি সকলের বিরোধী দলনেতা এবং সকলের পাশে দাঁড়াবেন। সেই মতই প্রথম দিন থেকেই অভয়ার মৃত্যুর পরে তার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি নবান্ন অভিযানের ঘোষণা অভয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে করার পর থেকেই তিনি তাদের পাশে থাকবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। আর সেই মতই আজ প্রচুর মানুষের সঙ্গে কলকাতার রাজপথে হাঁটতে শুরু করলেন শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে আওয়াজ তুলে শাসকের কম্পন ধরালেন বিরোধী দলনেতা। তবে যে মিছিল শুরু হয়েছে, সেই মিছিল কতদূর যায় এবং কিভাবে এই মিছিলকে আটকাতে সব রকম চেষ্টা করে পুলিশ এবং মিছিল যদি আটকানো হয়, তাহলে কি করেন অভয়ার পরিবার থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারীরা, সেদিকেই নজর গোটা রাজ্যবাসীর।

Exit mobile version