প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সম্প্রতি রাজ্য বিধানসভায় যে হুলস্থুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এবং যেভাবে প্রতিবাদ করার জন্য বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তাদের একটাই বক্তব্য যে, এই রাজ্যের বিধানসভা চলে তৃণমূলের কথায়। অধ্যক্ষ নিজের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারেন না। তিনি তৃণমূলের কথামতই সমস্ত সিদ্ধান্ত নেন বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বিজেপি বিধায়করা। আর সেই ব্যাপারেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কথায় যেভাবে অধ্যক্ষ পরিচালিত হচ্ছেন, তা নিয়ে আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত, এই রাজ্যের বিধানসভার অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। যেখানে তৃণমূলের বিধায়করা বিধানসভার মধ্যে বলতে পারলেও, বিজেপি বিধায়কদের কেন বলতে দেওয়া হয় না, কেন তাদের কথায় কথায় সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়, তা নিয়ে সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা। অধ্যক্ষ শুধুমাত্র তৃণমূলকেই দেখতে পান। বিরোধীদের দেখতে পান না বলে খোঁচা দিতেও দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের। আর সেই বিষয় তুলে ধরেই একদিকে অধ্যক্ষ এবং আর একদিকে মুখ্যমন্ত্রী, দুজনকেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “উনি পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য। আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গুন্ডাও কন্ট্রোল করেন, স্পিকারও কন্ট্রোল করেন। স্পিকার কোনটা দেখবেন, কোনটা দেখবেন না, সেটাও মুখ্যমন্ত্রী নিয়ন্ত্রণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী যেমন রাত জেগে ঝড়ের গতিপথ বদলে দিয়েছিলেন, একইভাবে স্পিকারের কানের ভেতরের যে যন্ত্রাংশগুলো আছে, ঈশ্বরের তৈরি করা, সেটাও উনি বদলে দিয়েছেন।”
