প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-2026 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক করার রাজনৈতিক গোটা রাজ্যের মানুষের কাছে একটাই প্রশ্ন যে সত্যিই কি রাজ্যে জারি হতে চলেছে এস আই আর ইতিমধ্যেই অনেকে কাগজপত্র খুঁজতে শুরু করে দিয়েছেন ভোটার তালিকায় যে সংশোধনী প্রক্রিয়া বিহারে শুরু হয়েছে সেখানে প্রচুর মানুষের নাম বাদ দিয়েছে বলে খবর। তাই সেই ইসুকে সামনে রেখে তৃণমূল রাস্তায় নেমে এই এস আই আর এর বিরোধিতা করছে তারা বলছে কোনমতেই পশ্চিমবঙ্গে এমনটা তারা হতে দেবেন না। কিন্তু বিজেপির পাল্টা দাবি এফআইআর করতেই হবে তা না হলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী এবং বাংলাদেশী ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া যাবে না। আর এসবের মধ্যেই যে খবর সামনে এলো তা শুনে অনেকেই হয়তো চমকে উঠতে পারেন। কি সেই খবর?
বিশেষ সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, বিহারের মতই পশ্চিমবঙ্গেও এবার এসআইআরের নির্দেশিকা জারি হতে চলেছে। কিন্তু কবে থেকে সেই নির্দেশিকা বলবৎ হবে? কি ভাবছে নির্বাচন কমিশন? যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, সামনেই ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস। আর তার আগেই রাজ্যে এসআইআরের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। অর্থাৎ হাতে আর একেবারেই সময় নেই। যদি এই খবর ঠিকঠাক হয়, তাহলে আর মাত্র কয়েকদিন পরেই রাজ্যে এসআইআরের ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করে দেবে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে এই খবর সামনে আসার পরেই রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসআইআর একদিক থেকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কেননা ভোটার তালিকায় জল মিশে রয়েছে বলে বিরোধীরা মাঝেমধ্যেই অভিযোগ করে। তাদের বক্তব্য যে, এই রাজ্যের শাসক দল নিজেদের ভোট বৈতরণী পার করার জন্য বহু রোহিঙ্গা, অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার তালিকায় তুলে দিয়েছে। তাই তাদের নাম বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে এসআইআরের ভূমিকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই সেই এসআইআর হলে সেই সমস্ত অবৈধ, ভুয়ো এবং মৃত ভোটারদের নাম বাদ যাবে এবং শান্তিপূর্ণ স্বচ্ছ নির্বাচনে তৃণমূলকে বিদায় দেওয়া অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই কমিশনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত যে খবর আসছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গেও যে এসআইআর হচ্ছে এবং তাদের সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে এই চলতি মাসেই হতে চলেছে সেই ব্যাপারে সংশয় নেই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। তবে শেষ পর্যন্ত পাকাপাকিভাবে এই এসআইআরের বিজ্ঞপ্তি জারির ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কি ঘোষণা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজ্যবাসীর।