Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

“হিন্দু উদ্বাস্তুদের কেশাগ্র কেউ স্পর্শ করতে পারবে না” ভারতীয় মুসলিমদের নিয়েও বিরাট বার্তা দিলেন শমীক!

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
পশ্চিমবঙ্গ সহ প্রায় ১২ রাজ্যে ইতিমধ্যেই এসআইআরের ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে অন্য কোনো রাজ্যে এই এসআইআরের বিরোধিতা করে সেখানকার শাসক দল বা বিরোধীরা এত চিৎকার চেঁচামেচি না করলেও, পশ্চিমবঙ্গে ব্যতিক্রম চিত্র দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এখানে কোনোমতেই এসআইআরকে স্বাগত জানানোর মত মনোভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রীদের। উল্টে তারা হুমকি, হুশিয়ারি দিতে শুরু করেছেন। তারা বলতে শুরু করেছেন যে, বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে। তবে বিজেপি প্রথম দিন থেকেই দাবি করছে, যারা হিন্দু, তাদের কারোর ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হবে না। এমনকি যারা ভারতীয় মুসলিম, তারাও সুরক্ষিত থাকবেন। তবে রোহিঙ্গা থেকে শুরু করে অবৈধ ভোটার, মৃত ভোটারদের নাম বাদ যাবে। আর আবারও সেই অবস্থানে অনড় থেকে হিন্দু উদ্বাস্তু থেকে শুরু করে ভারতীয় মুসলিমদের নিয়ে বড় বার্তা দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।

ইতিমধ্যেই এই রাজ্যে এসআইআর চালু হওয়ার পর থেকেই সবথেকে বেশি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এসআইআরকে কোনোমতেই একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না তারা। উল্টে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা রাজ্যের শাসক দলের নেতা-নেত্রীরা করতে শুরু করেছেন। তারা বলতে শুরু করেছে যে, এসআইআর হলে নাকি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ যাবে। তবে তৃণমূলের আসল ভয়ের কারণ অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ যাওয়া। আর সেই কারণেই তারা এসআইআরের মত একটি স্বাভাবিক এবং গঠনমূলক প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করছে বলেই দাবি বিজেপির। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আবারও হিন্দু শরণার্থী থেকে শুরু করে ভারতীয় মুসলিমদের কেশাগ্র কেউ স্পর্শ করতে পারবে না বলেই জানিয়ে দিলেন শমীক ভট্টাচার্য।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। আর সেখানেই তিনি বলেন, “যারা হিন্দু শরণার্থী পশ্চিমবঙ্গে আছেন, তারা নাগরিকত্ব পাবে, ভোটাধিকার পাবে। দরকার হলে তার জন্য যা ব্যবস্থা করার, তার ব্যবস্থা সরকার করবে। বিজেপি যতক্ষণ ক্ষমতায় আছে, ততক্ষণ ভারতীয় মুসলমান এবং বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু উদ্বাস্তুদের কেশাগ্র কেউ স্পর্শ করতে পারবে না।”

Exit mobile version