Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

হাসপাতালে ভর্তি বিজেপি বিধায়ক! অথচ কেউ নাকি আহতই হননি, একি বললেন মমতার মন্ত্রী!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্য বিধানসভা কি করে চলছে, তা গতকাল রাজ্যের মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখার সময় বিরোধীরা তাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছিল। আর সেই প্রতিবাদের খেসারত হিসেবে একের পর এক বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। যেটা বিধানসভায় প্রতিনিয়ত চলে বলে অভিযোগ বিজেপির। তবে শুধু সাসপেন্ড করা নয়, পরবর্তীতে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে টেনে হিঁচড়ে মার্শাল দিয়ে বাইরে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। যার ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কিন্তু এই বিজেপি বিধায়ক হাসপাতালে ভর্তি থাকা সত্ত্বেও কেউ নাকি আহতই হননি, বেমালুম এমন কথা বলে দিলেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, গতকাল রাজ্য বিধানসভায় হুলুস্থুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যেখানে বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করার পাশাপাশি তাদের ধাক্কা দিয়ে বাইরে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যার ফলে প্রবল অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। কিন্তু সকলেই যখন তার শুশ্রূষা কামনা করছেন, তখন কেন এমন মন্তব্য করলেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী? শুধুমাত্র বিরোধীদের খাটো করার জন্যই কি তার এই ধরনের মন্তব্য! তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু ঠিক কি বললেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়?

এদিন এই ব্যাপারে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এটা কোনো ব্যাপার নয়। কেউ আহত হয়েছে বলে আমি জানি না। ছোটখাটো ধাক্কাধাক্কি, ঠেলাঠেলি হয়েছে। সেটাকে আহত বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। এসব ধাক্কাধাক্কি হলে একটু হবেই। ঠেলাঠেলি হলে একটু হবে।” আর এখানেই বিজেপির প্রশ্ন যে, কেন এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো? কেন এমন ধাক্কাধাক্কি করতে হলো রাজ্য বিধানসভায়? যেটা গণতন্ত্রের পীঠস্থান, সেখানে বিরোধীদের প্রতিবাদ করার খেসারত হিসেবে কেন তাদের সাসপেন্ড করা হবে? আর তারপরে রাজ্যের একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী, তিনি বলবেন, কেউ আহত হয়েছেন বলে তিনি জানেন না! আসলে এই রাজ্যের গণতন্ত্র যে একেবারে বিসর্জন হয়ে গিয়েছে তৃণমূল সরকারের আমলে, তা এত বড় ঘটনার পরেও বিন্দুমাত্র অনুতপ্তহীন মন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই দাবি করছে গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল।

Exit mobile version