Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

“ইঞ্চি, ফুট সব সাইজের নেতারা বীর হয়ে গিয়েছেন” মুরলীধর লেন থেকে কাদের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য দিলীপের?

 

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
রাজ্য রাজনীতিতে অনেকদিন ধরেই দিলীপ ঘোষের পরবর্তী পদক্ষেপ এবং তার রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি নিয়ে জল্পনা চলছে। সেই দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়ার পর থেকেই তার সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব ক্রমশ বেড়েছে। ইতিপূর্বেই দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমনকি বিজেপির একের পরে হেভিওয়েট নেতা পশ্চিমবঙ্গে এলেও, সেভাবে বিজেপির কোনো কর্মসূচিতে দিলীপ ঘোষকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। দলের পক্ষ থেকেও তাকে জানানো হচ্ছে না বলেই খবর। স্বাভাবিকভাবেই দল যে তার সঙ্গে একটা দূরত্ব স্থাপন করছে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে গতকাল সেই দিলীপ ঘোষ মুরলীধর লেনে বিজয়া সম্মেলনী করেছেন। আর সেই কর্মসূচি থেকেই তিনি যে এখনও বিজেপিতেই আছেন, তার স্পষ্ট করে দিয়ে এসআইআর নিয়ে তৃণমূলের নেতাদের একের পর এক হুমকি এবং ধমকিকে কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।

প্রসঙ্গত, এই রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি এবার শেষ লড়াই দিতে চাইছে। তবে দীঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই দিলীপ ঘোষের গতিপ্রকৃতি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল বিজেপি নেতা কর্মীদের মধ্যেও। পরবর্তীতে দিলীপবাবুর একাধিক মন্তব্য এবং বিজেপির পক্ষ থেকেও তাকে কোনো কর্মসূচিতে না ডাকায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, তার সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়ছে। যদিও বা বিজেপি নেতারা এখনও পর্যন্ত দাবি করছেন, দিলীপ ঘোষ বিজেপিতেই আছেন। অন্যদিকে দিলীপবাবুও ক্রমাগত দলের বিরুদ্ধে না গিয়ে তার একের পর এক মন্তব্য এবং তৃণমূলকে আক্রমনের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তিনি যে অবস্থানে ছিলেন, সেই অবস্থানেই রয়েছেন। আর এই পরিস্থিতিতে গতকাল মুরলীধর লেনে বিজয়া সম্মেলনীতে যুক্ত হওয়ার পর সেই কর্মসূচি থেকেই এসআইআর নিয়ে তৃণমূল নেতাদের একের পর এক হুশিয়ারি মূলক বক্তব্যকে পাল্টা কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ।

এদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে যেভাবে এসআইআর নিয়ে একের পর এক হুমকি, হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে দিলীপবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “তৃণমূলের নেতারা যেভাবে গরমাগরম ধমকি দিচ্ছেন, অভিষেক ব্যানার্জি থেকে, মমতা ব্যানার্জি ডিএমদের সামনেই ধমকাচ্ছেন যে, আপনারা আমাদের পয়সাতেই বেতন পান, আমাদের কথা শুনতে হবে। স্বাভাবিক ভাবেই সমস্ত অফিসাররা ভয়ে আছেন। এসআইআর দিয়ে ভয় দেখানো যাচ্ছে না জন্য এনআরসি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। ফলে ধমকি, চমকি, গাছে বেঁধে রাখব, হাত-পা ভেঙে দেব, এই ধরনের যে সমস্ত সংলাপ হচ্ছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে, ইঞ্চি সাইজ, ফুট সাইজ, সব সাইজের নেতারা এখন বীর হয়ে গিয়েছেন। বাবু যত বলে, পারিষদ তার, বলে তার শতগুন। আর এতেই সাধারণ কর্মচারীরা ভয় পাচ্ছেন যে, গ্রামে গেলে তৃণমূল আক্রমণ করতে পারে। তাই তারা অসুরক্ষিত বোধ করছেন।”

Exit mobile version