Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

যাহ্, হঠাৎ আবার কি হলো? মুহূর্তেই বদলে গেল হুমায়ুনের সিদ্ধান্ত! তুঙ্গে জল্পনা!

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
অনেক হম্বিতম্বি করার পর তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন হুমায়ুন কবীর। আর যেদিন তিনি সাসপেন্ড হয়েছিলেন, সেদিনই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি বিধায়ক পদ ছাড়তে চলেছেন। এমনকি একথাও জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তৃণমূলও ছাড়তে চলেছেন। কিন্তু পরের দিন যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, আপনি তৃণমূল ছাড়বেন কিনা। তখন হুমায়ুনবাবু বলেন যে, আমি তো দলের কোনো পদে নেই। কাজেই ওরা তো আমাকে সাসপেন্ড করে দিয়েছে। কাজেই আমার আর কিছু করার নেই। তবে সেই সময় সাংবাদিকরা আবার প্রশ্ন করেছিলেন যে, আপনি তো বিধায়ক পদ ছাড়বেন বলেছিলেন। তাহলে সেটা কবে ছাড়বেন? তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আগামী ১৭ তারিখ আমি বিধায়ক পদে পদত্যাগ করব।” কিন্তু না, আপাতত বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করবেন না ভরতপুরের বিধায়ক। হঠাৎ করেই নিজের সিদ্ধান্ত বদল করে ফেললেন তিনি। আর এখানেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, ঠিক কি কারনে বিধায়ক পদ রাখতে চাইছেন হুমায়ুনবাবু?

ইতিমধ্যেই হুমায়ুন কবীর তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পর বড় বড় হুঙ্কার ছাড়ছেন। তবে আজ তিনি যে সিদ্ধান্ত বদল করে ফেললেন, তাতেই প্রশ্ন উঠছে যে, তিনি ঠিক কি করতে চাইছেন? কিসের অপেক্ষা করছেন? কেন পিছুটান ত্যাগ করে বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারছেন না? কারণ সামনেই তো বিধানসভা নির্বাচন। হাতে গোনা আর দুটো মাস রয়েছে। তারপরে তো তার তিনি আর বিধায়ক থাকবেন না। তাকে যদি বিধায়ক হতে হয়, তাহলে তিনি যদি জিতে আসেন, তারপরে বিধায়ক হবেন। কিন্তু যে হুমায়ুনবাবু বারবার করে নীতির কথা বলেন, তিনি প্রথমে বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা জানালেও, হঠাৎ করে সুর পরিবর্তন করলেন কেন? এক্ষেত্রে অবশ্য হুমায়ুনবাবুর যুক্তি যে, তাকে যারা ভোট দিয়েছে, তারাই বলেছেন যে, বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করবেন না। কিন্তু সত্যি কি ভোটারদের কথা মত, নাকি নিজের পাল্লা ভারী করতে আপাতত বিধায়ক পদ বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত নিজের কাছেই রেখে দিতে চাইছেন হুমায়ুনবাবু? আর সেই কারণেই পদত্যাগ করছেন না তিনি?

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। আর সেখানেই বিধায়ক পদ থেকে তিনি কবে পদক্ষেপ করবেন, সেই নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে হুমায়ুনবাবু বলেন, “পদত্যাগ করার কথা আমি ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু আমাকে যারা ভোট দিয়ে বিধায়ক করেছে, যারা ইউসুফকে ভোট দিয়ে সাংসদ করেছে, তারা তাকে খুঁজে পায় না। প্রতিদিন আমাকে আধার কার্ড থেকে শুরু করে স্কলারশিপ থেকে শুরু করে অনেক কাগজে সই করতে হয়। তারাই বলেছেন, খবরদার পদত্যাগ করবেন না। আপনাকে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি, আবার ভোটে দাঁড়াবেন। প্রতীক কি নেবেন, সেটা আপনার ব্যাপার। আমরা আবার আপনাকে বিধায়ক করবো। সুতরাং তাদের কথা রাখতেই আমি পদত্যাগ করছি না।”

Exit mobile version