প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা প্রথম দিন থেকেই দাবি করে আসছেন যে, যে সমস্ত নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনার তদন্তে রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং যাদেরকে গ্রেপ্তার করে এই রাজ্যে রাখা হয়েছে, তারা বহাল তবিয়েতে জেলের মধ্যে রয়েছে। এক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে জীবনকৃষ্ণ সাহা, এমনকি শেখ শাহজাহানের কথা তুলে ধরে তারা এই রাজ্যে জেলের মধ্যে থেকে সমস্ত রকম ভাবে প্রভাব খাটাচ্ছেন বলে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তার এই কথা যে অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল, তা গতকাল চোখের সামনে দেখতে পেল রাজ্যবাসী। যেখানে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার সময় শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে যিনি অন্যতম প্রধান সাক্ষী, সেই ভোলা ঘোষের গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কার ঘটনায় বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি এর পেছনেও সেই শেখ শাহাজাহান রয়েছে? তিনিই কি জেলে বসে থেকে এই ভোলা ঘোষকে শেষ করে দেওয়ার মত সমস্ত পরিকল্পনা কষে নিয়েছিলেন? আর আজ শেখ শাহজাহান জেলে বসে কি মারাত্মক কাণ্ডকলাপ করছেন, কিভাবে তিনি জেল থেকে সমস্ত কিছু অপারেট করছেন, তা নিয়ে কারারক্ষীদের কাছ থেকেই যে খবর পেয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সেই সম্পর্কে বড় তথ্য সামনে আনলেন তিনি।
গতকাল শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে অন্যতম সাক্ষী ভোলা ঘোষের গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কা মারার ঘটনায় সরগরম রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। আর তার মধ্যেই আজ সেই শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনিতেই শুভেন্দুবাবু প্রতিনিয়ত তৃণমূলের অনেক গোপন তথ্য ফাঁস করে দেন। তৃণমূলের কাছের লোকেরা, ঘরের লোকেরাই যে তার কাছে এই তথ্য পৌঁছে দিচ্ছেন, সেই ইঙ্গিতও দিয়ে থাকেন তিনি। জেলে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিভাবে পাঁঠার মাংস থেকে শুরু করে ছোলার ডাল সমস্ত কিছু খেয়েছেন, মাঝেমধ্যেই সেই কথা তুলে ধরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করেন বিরোধী দলনেতা। আর এবার শেখ শাহজাহানের কীর্তি কিভাবে জেলের ভেতরে চলছে, কিভাবে তিনি জেলের ভেতরে থেকেও মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন এবং ফোন নিয়ে রয়েছেন, সেই সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই শেখ শাহজাহান সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেন তিনি। শুভেন্দুবাবু বলেন, “প্রেসিডেন্সি জেলের ৪২ নম্বর কেবিনে বসে শাহজাহান অপারেট করছে। ওর হাতে গ্রে নগরে মোবাইল রয়েছে। আমাকে কারারক্ষীরা গতকাল থেকে সমস্ত তথ্য দিয়েছে। একটি ছোটো মোবাইল আছে, যেটা অ্যান্ড্রয়েড নয়। আর একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল আছে। দুটো মোবাইল নিয়ে শাহজাহান এই অপারেটটা জেলের ভেতর থেকে করছে। এটা সম্ভব হয়েছে মমতা ব্যানার্জির জন্য। তাই শাহজাহানদের মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদালতে যাওয়া উচিত তদন্তকারী সংস্থার।”
