প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
একসময় দলের মহাসচিব থেকে শুরু করে বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এমনকি শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির দায়িত্বেও ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে প্রায় তিন বছর আগে নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার সঙ্গে যে দল এইভাবে দূরত্ব স্থাপন করবে, তা তিনিও হয়ত কল্পনা করতে পারেননি। পরবর্তীতে সাংবাদিক বৈঠক করে তাকে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই একটা প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল যে, এরপর পার্থ চ্যাটার্জি কি করবেন? অবশেষে আজ তিনি জেল থেকে মুক্ত হয়েছেন। আর তিনি বাড়িতে ফিরে আসার পরেই সাসপেন্ড হওয়ার খবর পেয়ে জেল থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে যে প্রশ্ন করেছিলেন, তা ঘিরে রীতিমত আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
প্রায় তিন বছর আগে নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার মত তৃণমূলের শীর্ষ স্তরের এত বড় নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার পর দল তার পাশে থাকবে কিনা তা নিয়ে একটা প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীতে সাংবাদিক বৈঠক করে তাকে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এতদিন ধরে জেলের ভেতরে থাকলেও কখনও দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা যায়নি পার্থবাবুকে। কিন্তু আজ যখন তিনি জেল থেকে ছাড়া পেলেন, তখনই গ্রেফতার হওয়ার পর দল তাকে সাসপেন্ড করেছে, এই খবর পাওয়ার পর তিনি স্বয়ং দলনেত্রীকে একটি চিঠি লিখে তাকে সাসপেন্ড করার কারণ জানতে চেয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, এখন তো পার্থবাবু জেল থেকে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন! তাহলে তিনি এখন কি করবেন? জেলে থাকার সময় সাসপেন্ড হওয়ার খবর পেয়ে তিনি যে প্রশ্ন দলনেত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তর চাওয়ার জন্য কি আবার দলনেত্রীকে চিঠি দেবেন! নাকি দল আবার তাকে দলীয় কাজকর্ম করার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেবে?
সূত্রের খবর, সাসপেন্ড হওয়ার পরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেল থেকে একটি চিঠি লিখেছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুধু দলনেত্রী নয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর কাছেও সেই চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি বলে খবর। যেখানে জানতে চাওয়া হয়েছিল, “সংবাদমাধ্যমে জেনেছি, দল আমাকে সাসপেন্ড করেছে। দলীয় সংবিধানের কোন ধারা মেনে আমায় সাসপেন্ড করা হলো?” তবে এই চিঠি অনেকদিন আগে পার্থবাবু পাঠালেও, এখন তিনি জেল থেকে ফিরে আসার পর তা ঘিরে রীতিমত চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এখন দেখার বিষয়, পার্থবাবুর বহুদিন আগে করা দলের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর দলের তরফ থেকে আসে কিনা! আর যদিও বা আসে, তাহলে তার পরিপ্রেক্ষিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হয়, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।
