Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

যাক্, অবশেষে শিক্ষককে হেনস্থা কাণ্ডে তৃণমূল নেতা গ্রেপ্তার! দুদিন পরেই ছাড়া পেয়ে যাবেন না তো?

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কিছুদিন আগেই রাজ্যের মধ্যে ঘটে যাওয়া একটি খবর তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। যেখানে কাকদ্বীপের একটি স্কুলের ভেতরে একেবারে প্রধান শিক্ষককে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে হেনস্থা করার সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসে। আর এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে স্কুলেরই পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ত্রিদিব বারুইয়ের নাম। সকলের একটাই দাবি ছিল যে, অবিলম্বে সে যত বড়ই তৃণমূলের নেতা হোক না কেন, তাকে যেন গ্রেপ্তার করে প্রশাসন। কারণ এভাবে যদি প্রকাশ্যে স্কুলের ভেতরে একজন প্রধান শিক্ষককে শুধুমাত্র শাসকদলের নেতা বলেই কেউ হেনস্থা করে, তাহলে তো শিক্ষক সমাজের কোনো সম্মান বলে কিছু থাকবে না! তবে এই রাজ্যের বুকে যেভাবে তৃণমূল নেতারা অন্যায় করলেও, তাদের ছাড় দেওয়া হয়, তাতে শেষ পর্যন্ত এক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা! তা নিয়ে একটা সংশয় ছিল বিরোধীদের মধ্যে। কিন্তু অবশেষে বিতর্কের মুখে পড়ে সমালোচনার মুখে পড়ে সেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তথা কাকদ্বীপের সেই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতিকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ।

সম্প্রতি কাকদ্বীপের একটি স্কুলে দেখতে পাওয়া যায় যে, সিসিটিভি ফুটেজে প্রধান শিক্ষককে একজন ব্যক্তি ঘাড় ধাক্কা দিচ্ছেন একেবারে স্কুলের মধ্যে। পরবর্তীতে খবর নিয়ে দেখা যায় যে, সেই ব্যক্তি স্কুলেরই পরিচালন সমিতির সভাপতি এবং তৃণমূলের পঞ্চায়েতের সদস্য। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে, কোনো একটি বিষয় নিয়ে সমস্যা থাকতেই পারে। কিন্তু তাই বলে স্কুলের ভেতরে তৃণমূল নেতার এই দাদাগিরি কেন? এইভাবে শিক্ষকের হাত গায়ে হাত তোলার ক্ষমতা থাকে কে দিলো? পাশাপাশি প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। গতকাল দিনভর চর্চা ছিল যে, কেন এখনও পর্যন্ত প্রশাসন সেই পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না? আদৌ কি তারা ব্যবস্থা নেবে? তবে অবশেষে দিনের শেষে খবর পাওয়া গেল যে, সেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তথা পরিচালন সমিতির সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এর মধ্যেও কিছু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে বিরোধীদের কাছে।

বিরোধীদের বক্তব্য, ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রশাসন এই পদক্ষেপ নেয়নি। চাপে পড়েই তাদের এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। কারণ সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে হবে, আর তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার আলালের ঘরের এই দুলালকে প্রশাসনকে দিয়ে গ্রেফতার করানো নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তারা মন থেকে কখনই চান না যে, এই সমস্ত গুন্ডারা জেলের ভেতরে থাকুক। কারণ তাহলে তৃণমূলের ভোট বৈতরণী পার হবে না। হয়ত দুদিন পর এই সমস্ত তৃণমূল নেতা আবার ছাড়া পেয়ে যাবেন। কারণ এই রাজ্যে পুলিশ তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করে। আর তৃণমূল কখনই সমাজবিরোধী এবং গুণ্ডাদের ছাড়া বাঁচতে পারে না বলেই কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। আর এখানেই বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলছেন যে, গ্রেপ্তার তো হলো, এই ঘটনায় সকলেই খুশি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই গ্রেফতারি কয়েকদিনের জন্য হবে না তো?

Exit mobile version