Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

জলমগ্ন কলকাতায় বিপর্যস্ত জনজীবন, সাত সকালে খোঁজ নিতে পৌঁছে গেলেন শমীক!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
শহর কলকাতায় সম্প্রতি যে অতিবৃষ্টি হয়েছে, তার ফলে জলমগ্ন ছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা তো দূরের কথা, উল্টে এতগুলো মানুষ বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার পরেও এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে কলকাতা পৌরসভা বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থাকে দায়ী করছেন। যে কোনো জায়গায় দুর্যোগ হলে জল জমবে, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সময় মত সেই জল নেমে যাবে। কেন কলকাতা শহর জুড়ে সামান্য বৃষ্টি হলেই এত জল জমে থাকে? এই প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। আর সম্প্রতি যে বৃষ্টি হয়েছে এবং তার ফলে যেভাবে গোটা কলকাতা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে, যেভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, তাতে সাধারণ মানুষ রীতিমত ক্ষিপ্ত। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপি যে দূর্গাপূজোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এই বিপর্যস্ত জনজীবনকে স্বাভাবিক করতে সব রকম সহযোগিতা করবে, তা জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর আজ সাতসকালে জলমগ্ন কলকাতায় দুর্যোগের পরে স্বচ্ছতা অভিযান এবং জনসম্পর্ক অভিযানে বেরিয়ে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

আজ সাত সকালে বিজেপির পক্ষ থেকে বড় কর্মসূচি নেওয়া হয়। যেখানে বিপদের দিনে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন বিজেপি নেতৃত্ব। কলকাতার এপিসি রোডে দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে তাদের খোঁজ নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। যেখানে স্বচ্ছতা অভিযান এবং জনসম্পর্ক অভিযান কর্মসূচি পালন করেন তারা। অর্থাৎ দুর্যোগ যেভাবে হয়েছে এবং যেভাবে সাধারন মানুষ জলমগ্ন পরিস্থিতিতে অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে দিন কাটিয়েছেন, তাতে আর দেরি না করে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে এবার রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ রয়েছে জনমানসের মধ্যে, তা আরও বাড়িয়ে দেওয়ার কৌশল গ্রহণ করলো গেরুয়া শিবির।

বিজেপির দাবি, গোটা কলকাতাকে ধ্বংস করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার এবং তাদের পরিচালিত পৌরসভা। সামান্য বৃষ্টি হলেই কলকাতা শহরে জল জমে যায়। নিকাশি ব্যবস্থা অত্যন্ত নিম্নমানের। যার ফলে গোটা কলকাতার সৌন্দর্যায়ন তৃণমূল সরকারের আমলে আরও ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বিপদের দিনে তৃণমূলের কোনো নেতা এবং পৌরসভাকে মানুষের পাশে পাওয়া যায়নি। তাই দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতিতে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিয়ে তাদের পাশে যে দল সবসময় রয়েছে, সেই বার্তাই দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

Exit mobile version