Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

 “জনগণের টাকা খেলে নিস্তার নেই” কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে চেঁচামেচি করতেই মমতাকে পাল্টা সুকান্ত!

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখনই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন, তখনই তিনি বিজেপি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দোষারোপ করতে শুরু করেন। গতকালও তিনি নবান্ন থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে চক্রান্ত চলছে বলে দাবি করেছেন। আর আজ সকাল থেকে পুর নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে। যার মধ্যে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর অফিস এবং তার ছেলের ধাবাতেও তল্লাশি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল নেতারা প্রত্যেকবার যে কোনো জায়গায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হানা হলেই যে কথা বলেন, এক্ষেত্রেও তারা তেমনটাই বলতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই সুজিতবাবু গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেছেন। তবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি থেকে এই সমস্ত ব্যাপারে দোষারোপ না করে আদালতের নির্দেশে যেহেতু তদন্ত চলছে, তাই যদি সেই সম্পর্কিত কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে আদালতে যান বলে তৃণমূল দল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা খোঁচা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

ইতিমধ্যেই আজ সকাল থেকেই প্রায় ১০ টি জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর অফিসেও তারা তল্লাশি চালাচ্ছে। মূলত, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেই চলছে এই তল্লাশি বলে খবর। অনেকেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই তল্লাশি এবং জেরা দেখতে দেখতে ক্লান্ত। সকলেই এবার দাবি করছে যে, পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক, রাঘববোয়ালদের জেলে ঢোকানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হোক। তবে তৃণমূল অবশ্য কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই তৎপরতাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেই দাবি করতে শুরু করেছেন। আর সেই বিষয় নিয়েই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে চুরি করলে যে কোনো নিস্তার নেই, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ।

এদিন কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা নিয়ে তৃণমূলের যে অভিযোগ সেই বিষয়ে সুকান্তবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরই তিনি বলেন, “ইডির যে তল্লাশি শুরু হয়েছে, আমাদের কাছে যতটুকু খবর যে, পুর নিয়োগ দুর্নীতির মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই তারা এই কাজ করছে। আপনারা সকলেই জানেন যে, এই পুর নিয়োগ দুর্নীতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গেই উঠে আসে। কোর্টের নির্দেশে এই তদন্ত ইডির হাতে যায়। কোর্ট বলেছে, তদন্ত করতে। তাই ইডি তদন্ত করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়োজনে কোর্টের কাছে যান। ইডিকে দোষারোপ করে কি লাভ হবে? ইডি তার কর্তব্য পালন করছে। মোদীজির নীতি, না খাউজ্ঞা না খানে দুঙ্গা। মানুষের টাকা খেতে আমরা দেব না। মানুষের টাকা খেলে হলক থেকে বের করে আনব।”

Exit mobile version