Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

কালীপুজোর পরেই রাজ্যে বিরাট আন্দোলন! কালঘাম ছুটবে মমতার? হুঙ্কার শুভেন্দুর!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। সামনেই ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তবে তার আগে হাতে একাধিক ইস্যু থাকা সত্ত্বেও কবে বিজেপি আরও বেশি করে সমবেতভাবে তৃণমূলকে চাপে রাখার মত প্রতিবাদ কর্মসূচি করবে, তার দিকে নজর রয়েছে সকলের। ইতিমধ্যেই তারা একাধিক বিষয় নিয়ে পথে নেমেছে। গতকাল নাগরাকাটায় যেভাবে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর ওপর হামলা হয়েছে, সেই ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতায় কর্মসূচি করেছে বিজেপি। আর সেই কর্মসূচি থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কালঘাম ছুটিয়ে দিতে বড় কর্মসূচির ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

ইতিমধ্যেই এই রাজ্যে তৃণমূল সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে একের পর এক হুংকার ছাড়ছেন বিজেপি নেতারা। বিভিন্ন বিষয়কে হাতিয়ার করে তারা ময়দানে নেমেছেন। গতকাল কলকাতায় বিজেপির পক্ষ থেকে সাংসদ খগেন মুর্মুর ওপর যে হামলা হয়েছে, সেই ঘটনার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আর সেই মিছিল শেষেই কর্মসূচি থেকে বড় আন্দোলনের ডাক দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর শুভেন্দুবাবুর কথা মত যদি বিজেপি কর্মীরা গোটা রাজ্যজুড়ে এই কর্মসূচি করতে পারে এবং সেখানে যদি আদিবাসী সমাজকে শামিল করাতে পারে, তাহলে বিধানসভা ভোটের আগে ব্যাপক চাপের মুখে পড়তে হতে পারে রাজ্যের শাসক দলকে বলেই মনে করছেন একাংশ।

এদিন কলকাতার দলীয় সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আদিবাসী সমাজ এবং বিজেপির কর্মকর্তারা খগেন মুর্মুকে এবং আদিবাসীদের অত্যাচারের প্রতিবাদে কালীপুজোর পর থেকেই ব্যাপক আন্দোলন সংগঠিত করবে এবং এই রাজ্যের প্রত্যেকটি আদিবাসী এলাকায় জনজাতিদের সংগঠিত করে আমরা বদলও আনব, বদলাও নেব।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীর এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যেভাবে আদিবাসী সাংসদের ওপর হামলা হয়েছে, তার জুতসই জবাব যে তৃণমূলকে দিতে হবে, সেই বার্তাই দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তবে তৃণমূলকে জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিজেপিকে এগিয়ে আসলে হবে না। আদিবাসী সমাজকেও যে এই কর্মসূচিতে শামিল করানোর কাজ করতে হবে বিজেপি নেতাদের, শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সেই বিষয়টিও স্পষ্ট হয়ে গেল। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version