Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

কালীগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যুতে আন্দোলনকারীদেরই মারধর, তুমুল চাঞ্চল্য রাজ্যে!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কিছুদিন আগেই কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার দিনেই ঘটে যায় ভয়ংকর ঘটনা। যেখানে এক নাবালিকা শিশু কন্যার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, সেই নাবালিকা শিশু কন্যার একটাই দোষ, কারণ তার বাবা বামপন্থী দলের সঙ্গে যুক্ত। তাই সেখানে তৃণমূল জয়লাভ করার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের ছোড়া বোমাতে সেই তামান্না খাতুন নামে নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে গোটা বিষয় নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে অনেক দূর জল গড়ায়। আর এসবের মধ্যেই এবার ফের খবরের শিরোনামে উঠে এলো কালীগঞ্জ।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই কালীগঞ্জে এই তামান্না খাতুনের মৃত্যুতে আন্দোলনে নেমেছে বিরোধীরা। তবে সেসবের মধ্যেই এই নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় যে সমস্ত সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা আন্দোলন করছিলেন, তাদের বাড়িতে গিয়ে তাদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, আন্দোলনকারীদের কণ্ঠরুদ্ধ করতে গভীর রাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। আর সেখানেই সেই গ্রেফতারের প্রতিবাদ তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে করার পরেই সেখানে সেই পরিবারের সদস্যদের ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ ওঠে। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এখন সোচ্চার হতে শুরু করেছে সিপিএম।

বামেদের অভিযোগ, চক্রান্ত করে যারা প্রতিবাদ করছেন, তাদের আটকে দিতেই এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। পুলিশ এবং তৃণমূল একে অপরের পরিপূরক হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই যারা তামান্না খাতুনের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত, তাদেরকে বাঁচিয়ে যারা এই মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন, তাদের কন্ঠরুদ্ধ করতেই গ্রেফতার করে মারধর করার ষড়যন্ত্র চলছে। তবে এসব করে বেশি দিন আটকে রাখা যাবে না। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে সেই তামান্না খাতুনের মা আন্দোলন কারী বাম কর্মীদের নিয়ে পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এমনিতেই এই নাবালিকার মৃত্যুতে রাজ্যের শাসক শিবির অত্যন্ত চাপে রয়েছে। আর তার মধ্যে যারা আন্দোলন করছেন, তাদের ওপরেই এই ধরনের অত্যাচার স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে শাসক শিবিরের চাপ অনেকটাই বাড়িয়ে দিলো বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version