Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

“ক্ষতিপূরণ চাই না” মেরুদন্ড সোজা রেখে বড় দাবি বিদ্যুৎপৃষ্ট মৃতের পরিবারের!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে ক্রমাগত প্রতিবাদী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। যখনই সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ত্রুটি দেখা যায়, যখনই কোনো মানুষের কোনো ঘটনায় মৃত্যু হয়, তখনই সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ক্ষতিপূরণ এবং একটি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। এতদিন অনেকেই চুপ ছিল। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে, ততই এই সরকারের গাফিলতি মানুষের নজরে আসছে। তাই আর কেউ ক্ষতিপূরণ বা চাকরি নিয়ে মুখ বন্ধ করতে রাজি নয়। গতকাল কলকাতায় যে জলমগ্ন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং তার ফলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃতদের পরিবারকে দু লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তবে মেরুদণ্ড সোজা রেখে সেই ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিলেন বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত নেতাজীনগরের প্রানতোষ কুন্ডুর পরিবার।

ইতিমধ্যেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীরাও প্রশ্ন তুলছেন যে, রাস্তায় খোলা তার পরে থাকার কারণেই তো এত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাই রাজ্যকে এর সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে। তবে ক্ষতিপূরণ দিয়ে যে মানুষের মুখ বন্ধ করা যাবে না, তা স্পষ্ট হয়ে গেল। যেখানে নেতাজীনগরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে যার মৃত্যু হয়েছে, সেই প্রাণতোষ কুন্ডুর পরিবারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ এবং চাকরি কোনটাই তারা নিতে চান না বলে জানিয়ে দিলেন।

এদিন বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে নেতাজী নগরের যে ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন, তার ছেলে বলেন, “আমার বাবা জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন। এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। কেন এই ঘটনা ঘটলো, আমরা এখনও জানতে পারিনি। নিশ্চয়ই কোনো ত্রুটি ছিল। যার কারণে এই ঘটনাটা ঘটলো।” অর্থাৎ ক্ষতিপূরণ এবং চাকরি নিয়ে তারা মুখ বন্ধ করতে রাজি নয়, বরঞ্চ দিনের পর দিন যেভাবে কলকাতা শহরে একের পর এক মানুষের এইভাবে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হচ্ছে, তাতে আর যাতে কেউ প্রাণ না হারান, তার জন্য তারা সঠিক তদন্ত চাইছেন। আর সেই কারণেই তাদের মেরুদন্ড সোজা রেখে এই প্রতিবাদ বলেই মনে করা হচ্ছে। যাকে কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা সমাজ।

Exit mobile version