প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূল সরকারের আমলে যে সমস্ত নিয়োগ হয়েছে বা যে সমস্ত পরীক্ষা হয়েছে, তার সবকটিতেই যে ছত্রে ছত্রে দুর্নীতি রয়েছে, প্রতিমুহূর্তে সেই তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী. ইতিমধ্যেই ২০১৬ সালের এসএসসির যে প্যানেল বাতিল হয়ে গিয়েছে, তাতে এমনিতেই যোগ্য চাকরিহারাদের বিক্ষোভের রীতিমতো জর্জরিত রাজ্যের সরকার। তবে একটা খাঁড়া অনেকদিন ধরেই ঝুলছিলো। সেটা হচ্ছে, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর তাকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল পর্ষদ। দীর্ঘ শুনানি হয়। অবশেষে আজ দুপুর দুটোর সময় সেই মামলার রায়দান রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্য রাজনীতিতে প্রতিমুহূর্তে তৃণমূল সরকারের চোখে চোখ রেখে কথা বলা রাজ্যের বিরোধী দলনেতার প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকরা। আর দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগেই সেই বিষয়ে বড় ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। তারপরেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাদের রায়দান করবে। আর তার ফলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, প্রাথমিকে যে ৩২ হাজারে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ, সেই নির্দেশ বহাল থাকে, নাকি এক্ষেত্রে এই ৩২ হাজারের চাকরি সুনিশ্চিত হয়। যার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন গোটা রাজ্যবাসী। যারা এই ৩২ হাজারের মধ্যে রয়েছেন, তারা রীতিমত আশঙ্কার প্রমাদ গুনছেন। আর সাত সকালে দিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতা হাইকোর্টের আজকের যে রায়দান, সেই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আজ প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি মামলার রায়দান করবে কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই বিষয়েই শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজত্বে কোনো চাকরির পরীক্ষা স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়নি। এটুকু আমি বলতে পারি। সম্প্রতি পুলিশের যে পরীক্ষা হয়েছে, সেখানেও আমি বলেছি, ওএমআরের কার্বন কপি দেওয়া হয়নি। আমার বিশ্বাস, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি সঠিক জায়গাটা ধরেছিলেন। আর আইনের দৃষ্টিভঙ্গিতে এটা আলাদা হওয়ার কোনো জায়গা নেই। এইটুকু আমি বলব। এর থেকে বেশি কিছু রায়দানের আগে বলা যাবে না।”
