প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
যে তৃণমূল নেত্রী বর্তমানে বাংলা ও বাঙালির অস্মিতা নিয়ে এত বেশি কথা বলছেন, গতকালই তার দলের পর্দা ফাঁস হয়ে গিয়েছে। যেখানে মালদহের চাচোল কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি এবি সোয়েলের নেতৃত্বে পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থা নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়েছিল। আর সেখানেই দেখতে পাওয়া যায় যে, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছবি পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি তারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিও পোড়ানোর চেষ্টা করছে। আর তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ব্যাপারে সোচ্চার হন বিজেপি নেতারা। প্রশ্ন ওঠে, এটাই কি তৃণমূলের বাংলার প্রতি ভালোবাসা? এটাই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঙালি অস্মিতা নিয়ে বড় বড় কথা বলার পরিচয়? আর এবার গোটা বিষয় নিয়ে পাল্টা পথে নেমে পড়লো বিজেপি।
প্রসঙ্গত, গতকালই মালদহের চাচল কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি নেতৃত্বে যে বিক্ষোভ হয়। সেখানে এক ভয়ংকর ছবি উঠে আসে। যেখানে দেখতে পাওয়া যায় যে, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছবি পোড়ানোর পাশাপাশি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিও পোড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই যে তৃণমূল নেত্রী বাংলা, বাঙালি নিয়ে এত কথা বলছেন, তিনি তার দলের ছাত্র সংগঠনকে কি এতটুকু শিক্ষা দিতে পারেননি যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিগুরু? নাকি সবটা জেনেও শুধুমাত্র দেশদ্রোহী মনোভাবের যে অভ্যন্তরীণ ফন্দি এই তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে রয়েছে, সেটারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে গিয়েছে তাদের এই আচরণের মধ্যে দিয়ে? তা নিয়েও কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। তবে এবার তৃণমূলের বাংলা প্রেমের পর্দা ফাঁস করে দিয়ে বড় প্রতিবাদ কর্মসূচি করার সুযোগ পেয়ে গেল গেরুয়া শিবির।
সূত্রের খবর, এদিন বিজেপির পক্ষ থেকে আইসিসিআরে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। যেখানে কবিগুরুর ছবি বুকে নিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিজেপি নেতারা। মূলত, যেভাবে চাচোল কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে রবি ঠাকুরের ছবি পোড়ানোর চেষ্টা হয়েছে, তার বিরুদ্ধেই বাংলার সংস্কৃতিকে মান্যতা দিয়ে বিজেপির এই প্রতিবাদ কর্মসূচি। যে কর্মসূচিতে উপস্থিত রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। স্বাভাবিক ভাবেই কবিগুরুর প্রতি অপমানের বিরুদ্ধে বিজেপির এই কর্মসূচি তৃণমূল নেত্রীর বাংলা ও বাঙালির অস্মিতা নিয়ে পথে নামাতে পাল্টা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলো বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।